মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি জেলে নিহত, ৬০ জনকে অপহরণ
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪০ PM , আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২১ PM

সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে মাছ ধরতে যাওয়া বাংলাদেশি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে মিয়ানমারের নৌ বাহিনী। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক জেলের মৃত্যু ও ৩ জেলে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৬০ মাঝি-মাল্লাসহ চারটি মাছ ধরার ট্রলার অপহরণ করে মিয়ানমারে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
ট্রলার মালিকরা জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. ওসমান শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকানাধীন ট্রলারের জেলে। আহত ৩ জেলেও ওই ট্রলারের। তবে তাদের নাম-ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ধরে নিয়ে যাওয়া ৪টি ট্রলারের মালিক হলেন- শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রীপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান, মৃত আলী হোছনের ছেলে আবদুল্লাহ, তার ভাই আতা উল্লাহ, উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেম। এই ৪টি ট্রলারে ৬০ জন মাঝিমাল্লা রয়েছে।
ট্রলার মালিক সাইফুল জানিয়েছেন, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলিবর্ষণ করে। এরপর ৫টি ট্রলারসহ মাঝি-মাল্লাদের ধরে নিয়ে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। যেখানে তার মালিকানাধীন ট্রলারে গুলিবিদ্ধ ৪ জনের মধ্যে একজন মারা গেছে। বৃহস্পতিবার ওই ট্রলারটি ছেড়ে দিয়েছে। নিহত এবং আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে। তবে এখনও ঘাটে এসে পৌঁছায়নি।
ট্রলার মালিক মতিউর রহমান জানান, ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলার ও মাঝি মাল্লাদের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। নিহতকে নিয়ে ট্রলারটি ঘাটে পৌঁছলে বিস্তারিত জানা যাবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, বিষয়টি নানাভাবে শুনেছেন তিনি। ঘটনাস্থলে টহল ট্রলার রয়েছে। তাদের থেকে তথ্য জেনে বিস্তারিত জানানো হবে।
কোস্টগার্ডের শাহপরীরদ্বীপের দায়িত্বরত কর্মকর্তা (নাম প্রকাশ না করে) বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন। ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ট্রলারটি ঘাটে আসার অপেক্ষায় আছি। ঘাটে আসার পর জানা যাবে। একই সঙ্গে অপর ৪টি ট্রলারও ছেড়ে দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।