১ ঘণ্টার জন্য প্রতীকী পুলিশ সুপার হলেন ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ইশরাত জাহান

খাগড়াছড়ি
  © সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে ১ ঘণ্টার জন্য প্রতীকী পুলিশ সুপার হয়েছেন খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী নূর ইশরাত জাহান। এক ঘণ্টার জন্য দায়িত্ব নিয়েই খাগড়াছড়ি জেলাকে নারী বান্ধব করার পাশাপাশি নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা রোধে সুপারিশমালা তুলে ধরেন তিনি।

আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েলের কাছ থেকে ব্যতিক্রমী এক আয়োজনে প্রতীকীভাবে পুলিশ সুপারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন নূর ইশরাত জাহান।

এসময় এক ঘণ্টার প্রতীকী এসপিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।

অক্টোবর মাসে কণ্যা শিশু দিবসের মাস উপলক্ষ্যে প্ল্যানইন্টারন্যাশনাল এর ‘গার্লস টেকওভার’ কর্মসূচির আওতায় ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্সের (এনসিটিএফ) সহযোগিতায় নারী নেতৃত্ব উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচীর আওতায় এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়।

এক ঘণ্টার পুলিশ সুপার নূর ইশরাত তার স্বপ্নের কথা তুলে ধরে কন্যা শিশুরা সমান সুযোগ এবং সমানাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ, বাল্য বিয়ে রোধসহ করনীয় বিষয় তুলে ধরেন তিনি। 

এসময় নূর ইশরাত জাহান আরো বলেন, ‘খাগড়াছড়ি জেলায় প্রতিমাসে গড়ে ৩-৫টি করে ধর্ষণের মামলা করা হচ্ছে। নারী নির্যাতনের মামলা হচ্ছে। আর যেন কোন নারীকে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য প্রতিবন্ধকতা ও কঠিন বাস্তবতার সাথে মুখোমুখি হতে না।’

এনসিটিএফ'র জেলা সাবেক সভাপতি শচীন দাশ ও সহ-সভাপতি জান্নাতুল মাওয়া'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব খাগড়াছড়িপুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল। 

তিনি বলেন, ‘যে বিষয়গুলো প্রতীকী পুলিশ সুপার তুলে ধরেছেন তা খুবই প্রাসঙ্গিক এবং যৌক্তিক। নারীরা ধর্ষণ,ইভটিজিং এবং বাল্য বিয়েসহ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অর্থ ও প্রশাসন) মাহমুদা বেগম, খাগড়াছড়ি শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা উষানু চৌধুরী,সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. আব্দুল বাতেনমৃধা, জেলা ভলান্টিয়ার খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাকসহ জেলা এনসিটিএফর ও পুলিশ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ২০১২ সাল থেকে দিবসটি গুরুত্ব সহকারে উদযাপন করে আসছে। কন্যা শিশুরা সমান সুযোগ এবং সমানঅধিকার পেলে বদলে দিতে পারে তাদের জীবন, তাদের আশ-পাশের সমাজ। মূলতঃ এই বিশ্বাস থেকেই ‘গার্লস টেকওভার’ এই কর্মসূচী আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।