দুমকীতে ইলিশ শিকারের মহোৎসব, প্রশাসনের দায়সারা অভিযান
- মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী প্রতিনিধি;
- প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৫ PM , আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৫ PM
প্রজনন মৌসুমের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা সংলগ্ন পায়রা, পাংগাসিয়া, আলগী, লেবুখালী, আংগারিয়া, পাতাবুনিয়া ও লোহালিয়া নদীতে দিনে-রাতে সমান তালে চলছে ইলিশ শিকারের মহোৎসব। অপরদিকে জনবল স্বল্পতা আর যানবাহন সংকটে দায়সারা অভিযান পরিচালনা করছে প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সমন্বয়হীনতার কারনে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় জেলেরা দেদারসে শিকার করছে মা ইলিশ। দুর্বল ডিজেল ইঞ্জিনের ট্রলারে উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান ফাঁকি দিয়ে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে কৌশলী জেলেরা ইলিশ শিকারের উৎসবে মেতে উঠেছে।
সোমবার(২৮ অক্টোবর) সরেজমিনে দুমকির পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের আলগী এলাকায় বেলা সাড়ে ১১ টায় গিয়ে দেখা যায়, লেবুখালীর ক্যান্টনমেন্টের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পায়রা নদীতে শত শত জেলেরা জাল ফেলে কিছুক্ষণ পর মাছ নিয়ে ফিরে আসছে এবং প্রকাশ্যে তা বিক্রি করছে। ১ কেজি ওজনের একটি ইলিশের দাম ১২'শ টাকা ও জাটকা ইলিশ ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জেলে বলেন, এলাকার প্রভাবশালীরা রাস্তায় টহল দিচ্ছে এবং তারা মৎস্য অফিসের লোকদের সাথে যোগাযোগ রাখছে যে তারা কোন এলাকায় টহলে আসবে। অবরোধের ৭-৮ দিন পরেই পায়রা, পাতাবুনিয়া ও লোহালিয়া নদীর তীরবর্তী জেলেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চললেও তাদের ঠেকাতে পারছে না প্রশাসন। উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জনবল বাজেট স্বল্পতা ও দ্রুতযান সংকটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা আমাদের সীমিত শক্তি দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।