সিরাজগঞ্জে জেলা বিএনপির আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
- মোঃ রবিউল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি;
- প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ PM , আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ PM
সারাদেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়। এ দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকেল ৪ টার দিকে সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণ হতে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রোমানা মাহমুদ এর সভাপতিত্বে এবং নেতৃত্ব এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উৎসব মুখর পরিবেশে কলেজ মাঠ হতে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাজার স্টেশন মুক্তির সোপানে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময়ে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন চৌধুরী, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, মোস্তফা নোমান আলাল, খ.ম.রকিবুল হাসান রতন, জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া সেলিম, সিনিয়র যুগ্ন-সম্পাদক সাবেক ভিপি শামীম খান, যুগ্ন-সম্পাদক রাশেদুল হাসান রঞ্জন, যুগ্ন-সম্পাদক নুর কায়েম সবুজ, অমর কৃষ্ণদাস, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ খান হাসান, শহর বিএনপির মুন্সী জাহেদ আলম, লিয়াকত আলী খান, সাব্বির হোসেন ভূইয়া সাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ সুইট, আলমগীর আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, দফতর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ, প্রচার সম্পাদক আলমগীর হোসেন জুয়েল, সহ-দফতর সম্পাদক সাংবাদিক শেখ মো. এনামুল হক, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরকার মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস. এম. নাজমুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, সাধারণ সম্পাদক মোরাদুজ্জামান মুরাদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজগন্জ জেলা কৃষকদলের আহবায়ক মতিয়ার রহমান, সদস্য সচিব টি এম শাহাদত হোসেন ঠান্ডু,জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন হাসি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবীব উজ্জ্বলসহ বিএনপি ও তার সকল অংগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পাল্টে গিয়েছিল। দেশ ও জাতি পেয়েছিল নতুন দিশা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ঘটনার ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর তৎকালীন উপপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফ তার অনুসারী সেনা সদস্যদের নিয়ে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করেন। নিজেকে সেনাপ্রধান হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ৬ নভেম্বর বঙ্গভবনে গিয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদকে গ্রেপ্তার করে করে মন্ত্রিসভা বাতিল ও জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন খালেদ। প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে দেশের প্রেসিডেন্টের পদে বসান। ওই রাতেই সেনাবাহিনীর সাধারণ সিপাহীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
সেই অভ্যুত্থানে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়ে সর্বস্তরের জনতা রাজপথে নেমে আসে। সিপাহি-জনতার মিলিত সেই বিপ্লবে বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। পাল্টা অভ্যুত্থান ঠেকাতে গিয়ে ৭ নভেম্বর সকালে কয়েকজন অনুসারীসহ প্রাণ হারান খালেদ মোশাররফ। অভূতপূর্ব এক সংহতির নজির সৃষ্টি হয় দেশের রাজনীতিতে। জিয়া চলে আসেন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পটপরিবর্তনের পর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী সত্তা লাভ করে। গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়, এই দিন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। এর পর থেকে ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। বিএনপি সরকারের আমলে এ দিনটিতে ছিল সরকারি ছুটি। তবে পতিত আওয়ামী লীগের দেড় যুগের শাসনামলে গত দেড় দশকেরও বেশি সময় দিবসটি স্বাচ্ছন্দ্যে উদযাপন করতে পারেনি বিএনপি।