চাকুরী প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ

জীবিত হোক কিংবা মৃত নিখোঁজ ১২ ব্যক্তির সন্ধান চায় স্বজনরা

নোয়াখালী
  © টিবিএম

নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়ায় জাহাজের চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে ১২ জন ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ১২ই নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে অপহরণকৃত ১২ ব্যক্তির সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। 

অপহরণকারী ব্যক্তিরা হলেন, মিলন মাঝি (হাতিয়া), মালেক মাঝি (সাতক্ষীরা), মন্টু সরদার (সাতক্ষীরা), নয়ন মাঝি (হাতিয়া), শরীফ মাঝি ও মো. শাহীন (সাতক্ষীরা) সহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, গত ১২ই সেপ্টেম্বর স্থানীয় নয়ন মাঝি ও মিলন মাঝি’র যোগসাজশে জাহাজে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের মোঃ জাবের উদ্দিন, মোঃ ছালেহ উদ্দিন, মোঃ মিল্লাদ উদ্দিন, মোঃ হেলাল উদ্দিন, মোঃ লিটন উদ্দিন, আবদুল মন্নান এবং সুবর্নচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের মোঃ সিরাজ উদ্দিন, মোঃ আরিফ উদ্দিন, ছেরাজল হক ও মোঃ ছিদ্দিক সহ অজ্ঞাত আরো ২জন ব্যক্তিকে নিয়ে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সন্ধ্যার দিকে খুলনার পাথরঘাটা পল্টনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। 

এরপর দীর্ঘ ২ মাস পেরিয়ে গেলেও ওই ১২ ব্যক্তির কারোরই কোনো হদিস নেই। এবিষয়ে অভিযুক্ত নয়ন মাঝি ও মিলন মাঝিকে নিখোঁজকৃত ব্যক্তিদের বিষয়ে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তারা কোনো সদুত্তর দিচ্ছে না। 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা চরজব্বর থানা ও হাতিয়া থানায় বার বার অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ তাদের।

স্বজনদের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতারের আওতায় নিয়ে আসলে দ্রুত অপহরণের রহস্য জানা যাবে। জীবিত কিংবা মৃত যে অবস্থায় হোক না কেন স্বজনদের সন্ধান চায় ভুক্তভোগী পরিবারেরর সদস্যরা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান অভিযুক্ত মিলন মাঝি জানান,  তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নন। তিনি প্রশাসনকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।

হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি জিসান আহমেদ জানান, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য সাব ইন্সপেক্টর নকুল বিশ্বাস কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানাতে পারবো।