কাফন পরে সেন্ট মার্টিনের অধিবাসীদের বিক্ষোভ

সেন্ট মার্টিন
  © সংগৃহীত

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক ভ্রমণে যান দ্বীপটিতে। তবে জীব-বৈচিত্র রক্ষায় সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করেছে সরকার। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কক্সবাজারে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন দ্বীপের বাসিন্দারা।

আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর ডলফিন মোড়ে সড়ক অবরোধ করেছেন তারা। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে সড়কে যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়েছেন কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকরা।

এক আন্দোলনকারী বলেন, পরিবেশের দোহাই দিয়ে সেন্ট মার্টিনবাসীকে মেরে ফেলার ফাঁদ পাতা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেবে না আমরা ততক্ষণ কক্সবাজার ছাড়ব না।

সেন্ট মার্টিনের আরেক বাসিন্দা বলেন, আমার ঘরে রান্না করার মতো কিছু নেই। তাই আজ সেন্ট মার্টিন থেকে কক্সবাজারে এসে আন্দোলন করছি। আমাদের বাঁচান।

অন্য আরেক আন্দোলনকারী বলেন, কালো আইন দিয়ে দ্বীপবাসীর খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। হয় ভাত দেন, না হয় পর্যটক যাওয়ার সুযোগ করে দেন।

সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দারা আরও বলেন, পর্যটক যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সিদ্ধান্তে হুমকির মুখে পড়েছে দ্বীপটির ১০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আমরা পড়াশোনা করতে পারছি না অর্থের অভাবে। সেন্ট মার্টিনের মানুষ পর্যটকদের টাকায় চলে।

উল্লেখ্য, প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে চার মাস পর্যটকদের যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে নভেম্বরে পর্যটকেরা যেতে পারলেও রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। আর ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে যেতে পারবেন, থাকতেও পারবেন। তবে এ সময় দিনে ২ হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে যেতে পারবেন না। আর ফেব্রুয়ারি মাসে কোনো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে পারবেন না বলে জানানো হয়। 

তবে সরকারের এই সিদ্ধানের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে বিভিন্ন মহল। অনেকেই দ্বীপের মানুষ যাতে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারেন সেরকম পর্যটক যাতায়াতের বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। আবার অনেকেই জীববৈচিত্রের ক্ষতি করে এমন জিনিস সরানোর ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছেন।