রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি
- কনক বড়ুয়া, উখিয়া:
- প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ PM , আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ PM
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান। এসময় মিয়ানমারের রাখাইনে ২০১৭ সালে গণহত্যার পাশাপাশি ২০২৪ সালে চলমান সহিংসতার বিচারেরও দাবি জানায় রোহিঙ্গারা। আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি হিসেবে করিম খানের এটা তৃতীয় বাংলাদেশ সফর।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফরের সময় উখিয়া কুতুপালং এক নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা কমিউনিটি লিডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান। বৈঠকেই গণহত্যার বিচারের দাবি করেন রোহিঙ্গা কমিউনিটি লিডাররা।
রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতারা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে রাখাইনে মিয়ানমার সামরিক জান্তা যে রকম গণহত্যা চালিয়েছে, ২০২৪ সালে একই রকম গণহত্যা চালাচ্ছে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সামরিক জান্তা বাহিনী। আইসিসির প্রধান কৌঁসুলিকে তারা চলমান গণহত্যার বিষয়ে জানিয়েছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি এক নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান। কমিউনিটি লিডারদের সঙ্গে বৈঠকের পরে ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। তার সাথে ছিল ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, সকারে তিনি এক নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান। এরপর ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। তার সাথে রয়েছেন ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বিকেল ৪টায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সামগ্রিক বিষয়গুলো নিয়ে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে আইসিসির প্রধান কৌঁসুলির সাথে একটা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৭ সালের আগস্টের পর রাখাইন থেকে মিয়ানমার সেনারা রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে কি না, সেটার জবাবদিহি নিশ্চিত করতে যুক্ত হয়েছে আইসিসি। এই তদন্তের জন্য সাক্ষী সুরক্ষাবিষয়ক প্রটোকল সইয়ের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। করিম খানের এবারের সফরে এ বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।
কক্সবাজার সফর শেষে ঢাকায় ফিরে করিম খান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ও অগ্রাধিকার বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, রোম সনদের স্বাক্ষরকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। মানবতা বিরোধী অপরাধ তদন্তে সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশে কাজ করার বিষয়ে একটি সমঝোতা সই করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। তবে রোম সনদে সই করেনি মিয়ানমার।