সেন্টমার্টিন নিয়ে নতুন পরিকল্পনা সরকারের
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৪ PM , আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৪ PM
সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্লাস্টিক বোতলের পানির পরিবর্তে বিকল্প উপায়ে খাবার পানি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে দ্বীপটি সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার (প্লাজমা রিয়েক্টর) যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় দ্বীপের সমস্ত বর্জ্য সংগ্রহে পরিবেশবান্ধব পরিবহন (বেকোটেগ) ব্যবহার করা হবে এবং এটিএম কার্ডের আদলে বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে বাসিন্দারা নিজেদের ইচ্ছেমতো খাবার পানি নিতে পারবেন।
বিশ্বব্যাংকের অনুদানে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এর মাধ্যমে দ্বীপের পরিবেশ দূষণ কমবে এবং প্রবালসহ সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষিত হবে। বর্তমানে, সেন্টমার্টিনে ১৭০০ পরিবারের প্রায় ৮ হাজার মানুষ বসবাস করেন, যাদের উৎপাদিত বর্জ্য দ্বীপের পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দৈনিক দুই টন মানব বর্জ্য এবং দুই টন কঠিন বর্জ্য, এছাড়া পর্যটন মৌসুমে প্লাস্টিক বোতল ও অন্যান্য প্যাকেটজাত বর্জ্যও থাকে। এই সমস্যা মোকাবিলায়, সেন্টমার্টিনে মল স্লাজ ও সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নির্মাণ করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় সেন্টমার্টিনে বিভিন্ন ধরনের পানি পরিশোধন ব্যবস্থা চালু হবে, যা দিয়ে প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার বন্ধ হবে। পানি সরবরাহের জন্য একটি বিশেষ কার্ড সিস্টেম তৈরি করা হবে, যার মাধ্যমে বাসিন্দারা নির্ধারিত মূল্যে পানি নিতে পারবেন। এছাড়া, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্লাজমা রিয়েক্টরও স্থাপন করা হবে, যা বাংলাদেশে দ্বিতীয় প্রকল্প হিসেবে পরিচিত।
বর্তমানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার পরীক্ষা উখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে সফলভাবে চালানো হয়েছে। এই প্রকল্পটি আগামী জুন মাসে সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
পরিবেশবাদীরা এই উদ্যোগকে প্রশংসনীয় বলছেন এবং আশাবাদী যে, এটি সেন্টমার্টিনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।