৮ম শ্রেণী পাসে কলেজের সভাপতি, কুকৃর্তির পরেও বহাল আ’লীগ নেতা গোলাম রব্বানী

গোলাম রব্বানী তালুকদার
  © সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামের মৃত আফজাল হোসেন তালুকদার এর বড় ছেলে গোলাম রব্বানী তালুকদার। শিক্ষা দীক্ষা তেমন না থাকলেও তিনি হয়ে ওঠেন আওয়ামী লীগের বড় লীডার।

গোলাম রব্বানী তালুকদার সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা পরিষদের সদস্য সহ অনেক বড় বড় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সিরাজগঞ্জের সাবেক মন্ত্রী মোঃ নাসিম পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তার দাপটে এলাকাবাসী তটস্থ হয়ে থাকতেন। কেও কোন কথা বলতে পারতেন না।

মাত্র অষ্টম শ্রেণি পাশ হয়েও ক্ষমতার দাপটে কুড়িপাড়া আলহাজ্ব মোঃ নাসিম কলেজের সভাপতি হয়ে বসেন। এখনো তিনি উক্ত পদে বহাল তবিয়তেই আছেন। 

এলাকার সাধারণ মানুষের নিকট থেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা নিয়ে আর চাকরি দেননি। এমন অভিযোগও আছে যে, কিছু মানুষকে ভূয়া সাটিফিকেটের মাধ্যমে চাকরি দিয়েছেন। 

সাধারণ মানুষের উপর এমন জুলুম করেছেন যে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করত না। এমন একজন ভুক্তভোগী মাওলানা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ২০১৬ সালে অক্টোবর মাসে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার হরিণা পিপুল বাড়িয়া বাজারে দি ইনসাফ ডায়াগনস্টিক এন্ড  কনসালটেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছিলাম আমাকে জামায়াত আখ্যা দিয়ে  আমার প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক দখল করে নেন গোলাম রব্বানী তালুকদারের নেতৃত্বে। আমি কারো কাছে কোন প্রতিকার পাইনি।’

নির্বাচনের সময় কাওকে কেন্দ্রে যেতে না দেয়া, মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া, ডেকে নিয়ে হুমকি-ধামকি দেয়া ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। 

তিনি কোন বিরোধী মত সহ্য করতেন না। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা জনাব মোঃ আঃ রাজ্জাক মন্ডলকে মারবার জন্য দলবল নিয়ে তার বাড়িতে আক্রমণ চালিয়ে ভাংচুর করেন। অল্পের জন্য রাজ্জাক মন্ডল বেঁচে যান।

আওয়ামী লীগের পতনের পরে দীর্ঘ দিন ঢাকায় পলাতক ছিলেন। এখন একডালায় ফিরে এসে আবারও সংগঠিত হতে চেষ্টা করছেন। স্থানীয় মহিষামুড়া বাজার মসজিদে মিটিং করেছেন বলে এলাকাবাসী দেখেছেন। 

আওয়ামী লীগ আমলে ঠিকাদারি ব্যবসার নামে কোটি কোটি  টাকা আয় করছেন বলে এলাকাবাসী মনে করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান, ‘গোলাম রব্বানী তালুকদারের মত একজন দুষ্কৃতকারী এখনো কিভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ান এটা আমাদের বুঝে আসে না। প্রকাশ্যে অন্যায়কারী যদি এভাবে বেঁচে যায় তাহলে কোন দিন এদেশে ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা হবেনা।’