১৫ বছর ধরে পান না বেতন-ভাতা, ইমাম-মুয়াজ্জিনের মানবেতর জীবনযাপন

সিরাজগঞ্জ
মসজিদ এবং ইনসেটে ইমাম ও খতিব মাওলানা মোঃ রবিউল ইসলাম   © সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামের উত্তর পাড়া ফকির বাড়ি খানকায়ে মোজাদ্দেদিয়া জামে মসজিদ। এ মসজিদটি অনেক পুরনো। একডালা অনেক বড় একটি গ্রাম যেখানে প্রায় ২০ টির মত জুমা মসজিদ আছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রামের প্রায় সকল মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে  কমবেশি ভাতা দেয়া হয় কিন্তু একডালা উত্তর পাড়া ফকির বাড়ি মসজিদে ইমাম ও মুয়াজ্জিন এর ভাতার কোন ব্যবস্থা নেই। গ্রামের মধ্যে এটা একমাত্র দোতলা মসজিদ। 

এ বিষয়ে ফকির বাড়ি মসজিদের ইমাম ও খতিব  মাওলানা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর এ মসজিদে কাজ করি কোন বেতন-ভাতা পাইনি। মসজিদ কমিটি বলে মসজিদের দোতলার কাজ শেষ হলে এ বিজয় দেখা যাবে। সম্প্রতি আমরা শুনেছি বর্তমান সরকার সারা দেশের ইমাম ও মুয়াজ্জিন এর ভাতা দেয়ার বিষয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ খবর শুনে আমরা খুব খুশি হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।’ 

মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারি ফরহাদুজ্জামানের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন আযান দেওয়ার মধ্য দিয়ে এ মসজিদের সাথে লেগে আছেন। কোন বেতন ভাতা পান না। তিনি নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুষ্টির চাউল তুলে নেন, আর এভাবেই ডার সংসার চলে। তিনি বলেন খুব কষ্টে সংসার চালাতে হয়, আমাদের দিকে কারো নজর নেই। 

মসজিদ কমিটিকে জিজ্ঞেস করলে জানান, মানুষ টাকা দিতে চায় না। তাই আমরা বেতন দিতে পারিনা।

এভাবেই সমাজের অসহায় মানুষের একটি অংশ ইমাম ও মুয়াজ্জিন। অথচ মুসলিম এই দেশে সবচেয়ে বেশি সম্মান ও মর্যাদা পাওয়ার কথা ছিল ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের। তাই সচেতন মহলের আশা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা যেন আর অবহেলিত না থাকে এদের  যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা দেয়া হোক।