দুমকীতে কৃষকলীগ নেতার ওএমএএসে'র চাল কালোবাজারে বিক্রি, গুদাম সিলগালা
- মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২২ PM , আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১ PM

বস্তা পরিবর্তন করে ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রিকা লে পটুয়াখালীর দুমকীতে ১২ বস্তা সরকারি চাল আটক করেছে স্থানীয় জনতা। ওই চালের ডিলার লেবুখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের খলিল সিকদার ভাগ্নে দুমকী উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কালাম হাওলাদারের ছেলে মো: জহিরুল ইসলাম চাল রেখে পালিয়ে যান।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার লেবুখালী এলাকার ইউনিভার্সিটি স্কয়ারে পরিবর্তিত ওই বস্তা ভর্তি চাল আটক করা হয়। এ সময়
সিসি টিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের হাজী বাড়ীর দরজা থেকে চালের বস্তা গুলো অটোতে তুলে দিলে চাল নিয়ে অটোযোগে ড্রাইভার দ্রুত লেবুখালীর পাগলায় কালোবাজারে বিক্রির জন্য মালেক সিকদারের দোকানের সামনে আনে। এসময় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে চালের বস্তাগুলো আটক করে। পরে খবর পেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন মাহমুদ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
স্থানীয় দোকান মালিক মো: মালেক সিকদারের ছেলে সুজন জানান, স্থানীয় ফার্মেসি ব্যবসায়ী কালাম ডাক্তারের ছেলে জহির তাকে একটা গাড়ি নিয়ে চালগুলো দোকানে বিক্রি করতে বলেছে।
অটো গাড়ির ড্রাইভার বাদল জানান, হাজী বাড়ীর দরজায় চাল আনতে তাকে মালেক সিকদারের ছেলে এমদাদুল নিয়ে গেছেন। তবে জব্দকৃত চালগুলো কীসের চাল তা তিনি জানেন না।
ডিলার খলিল সিকদার বলেন, এসব চাল আমার নয়, আমি এর সাথে জড়িত নই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুমকী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মাহমুদ বলেন, স্থানীয় জনতার অভিযোগের ভিত্তিতে ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে চালগুলো জব্দ করে গুদাম দু'টি সিল গালা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুমকী থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। যার নম্বর -৩ এবং লাইসেন্স বাতিলসহ ডিলারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত জানানো হয়েছে।