মাতৃহীন প্রতিবন্ধী এনামুলের চিকিৎসা করাতে পারছেন না বয়স্ক নানা-নানি
- মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
- প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৫ PM , আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৫ PM

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার প্রতিবন্ধী এনামুলের ঠাঁই নেই বাবার কাছে এবং চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার বৃদ্ধ নানা-নানি। কান্না জড়িত কন্ঠে এনামুলের নানা শহিদুল ইসলাম বলেন, 'সাধারণত মা মরলে বাপ হয় তালোই'।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সন্তান জন্মের ২ ঘন্টা পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের জলিশা গ্রামের শহিদুল ইসলাম গাজীর মেয়ে হাওয়া বেগম ২০১৬ সালে মারা যায়। বর্তমানে তার বড়ো সন্তান সাইফুল ইসলাম (২০) সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে ইংরেজি বিভাগের ২য় বর্ষে, মেঝ সন্তান জন্মগত প্রতিবন্ধী (ডান হাত ও ডান পা পুরোপুরি অচল) এনামুল (১৬) জলিশা শামীমিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে, সেঝ সন্তান ইয়াদুল (১০) ও ছোট সন্তান হাবিবা (৯) চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। এই সন্তানদের বাবা পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাকেরগঞ্জের নলুয়া ইউনিয়নের চরগজালিয়া গ্রামের কবির মৃধা প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ২০১৮ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করে আর কোন খোঁজ খবর নিচ্ছেন না সন্তানদের। ৯ বছর ধরে ৪ জন নাতি-নাতনিদের নিয়ে কোনোমতে সংসার চালালেও বর্তমানে প্রতিবন্ধী মেঝ নাতি এনামুলের পায়ে ইনফেকশন জনিত অসুস্থতার চিকিৎসা করাতে পারছেন না বলে অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছেন নানা শহিদুল ইসলাম।
জলিশা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রতিবেশী মো: মাহবুবুর রহমান (রঞ্জু) বলেন, এই নাতি-নাতনীদের নিয়ে বিপাকে আছেন শহিদুল গাজী। তার কোন ছেলে সন্তানও নেই। আসলে শেষ বয়সে তাদেরই (শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী) চলতে দায়।
অসহায় শহিদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে এক সপ্তাহ ধরে এনামুল খুবই অসুস্থ। বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি। আরো ১০-১২ দিন সেখানে থাকতে হবে। তার চিকিৎসার খরচ জোগানো কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিবন্ধী এনামুলকে কেউ সাহায্য করতে চাইলে ০১৭৯৭-৮৪১৬৭৮ বিকাশ নাম্বারে সহায়তা করার অনুরোধ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সাজ্জাদ পারভেজ বলেন, অসহায় প্রতিবন্ধী এনামুলের খোঁজ-খবর নিয়েছি। এনামুলের চিকিৎসার জন্য যতটুকু সম্ভব সহায়তা করা হবে।