নোয়াখালীতে চাঁদা না পেয়ে নির্মাণাধীন দোকান গুঁড়িয়ে দিল সন্ত্রাসীরা
- নোয়াখালী প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৬ AM , আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৬ AM

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় চাহিত চাঁদার দেড় লাখ টাকা না পেয়ে একটি নির্মাণাধীন দোকান ভাংচুর ও দেয়াল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের নানুপুর গ্রামের ইসলাম কাজী বাড়ির সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায় “গত ১২ ফেব্রুয়ারি আমাদের বাড়ির সামনে নিজস্ব সম্পত্তিতে দোকান ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করলে স্থানীয় মোঃ জাফর, মোঃ রিয়াদ, আলা উদ্দিন ও স্টীল মনুসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন সন্ত্রাসী দোকান ঘর নির্মাণ বাবদ দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু আমরা তাদের চাহিত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাৎক্ষণিক তারা সঙ্গবদ্ধ হয়ে আমাদের নির্মাণাধীন দোকানের ছয়টি পিলার ভেঙে ফেলে এবং দোকানের কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দোকান ঘর কাজ সম্পূর্ণ করলে ওই সন্ত্রাসীগণ জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে রাত ১০টার দিকে আমাদের নির্মাণাধীন দোকানে হামলা চালায় এবং নির্মাণাধীন দেয়াল ভেঙে চুরমার করে দেয়।
তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, এর আগে আমরা বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের নিকট এসব চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ জানালেও তারা এসব এদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে আজকের এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। আমরা কোথায় যাব? কার কাছে যাবো? বর্তমানে আমরা আরো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, “স্থানীয় মো.জাফর, মোঃ রিয়াদ, আলা উদ্দিন ও স্টীল মনুসহ আরো কয়েকজন সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসী মানুষের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে পুঁজি করে বিভিন্ন লোকজন থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে যেকোনো পক্ষের হয়ে কাজ করে। এছাড়াও দোকান কিংবা বাড়ি নির্মাণ বাবদ মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। কিন্ত তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করে নয়তো ভয়ভীতি দেখিয়ে ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা করে।
সম্প্রতি বিবি মরিয়ম গংদের সাথে ইয়াসমিন আক্তার গংদের মধ্য বিরাজমান পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এসব সন্ত্রাসী প্রভাব বিস্তার করে এবং ভুক্তভোগী বিবি মরিয়ম গংদের নিকট বিভিন্ন ভাবে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে রাতের আঁধারে এসে তাদের দেয়াল ভেঙে দেয়। মাদকাসক্ত এসব সন্ত্রাসদের অত্যাচারে এখানকার মানুষ খুব অতিষ্ঠ।”
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ লিটন দেওয়ানকে মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।