মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে সিরাজগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর বর্ণাঢ্য মিছিল অনুষ্ঠিত
- মোঃ রবিউল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩১ PM , আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩১ PM

সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ঐতিহাসিক হরিণা পিপুল বাড়িয়া বাজারে পবিত্র মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে এক বর্ণাঢ্য মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে চারটায় জামায়াতের আয়োজনে এই মিছিলটি হরিণা পিপুল বাড়িয়া বাজারের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে গোল চত্বরে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ ও মজলিশে শুরার অন্যতম সদস্য মাওলানা মোঃ বেলাল হোসাইনের নেতৃত্বে আয়োজিত এই মিছিলে দলটির নেতাকর্মীরা বিপুল সংখ্যায় অংশগ্রহণ করেন। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সদর উপজেলার মজলিশে শুরার অন্যতম সদস্য ও বাগবাটি ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর সাবেক ছাত্র নেতা জনাব মাওলানা মোঃ ছানোয়ার হোসেন, এছাড়াও বক্তব্য দেন ছোনগাছা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ডাঃ মাওলানা মোঃ নজরুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা মাহে রমযানের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, মুসলমানদের এই মাসের তাৎপর্য বোঝা এবং সঠিকভাবে ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত। তারা রমযান মাসে বেশি বেশি ইবাদত, সাদাকাহ ও দান-খয়রাত করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও ইসলামী মূল্যবোধ প্রচার ও প্রসারের আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, মাহে রমযান মুসলমানদের জন্য সংযম ও আত্মগঠনের মাস। এই মাসে ইসলামের শিক্ষা মেনে চলার পাশাপাশি সমাজের অবহেলিত ও দরিদ্র মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।
উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ ও মজলিশে শুরার সদস্য মাওলানা মোঃ বেলাল হোসাইন বলেন, "রমযান শুধু রোজা রাখার মাস নয়, বরং আত্মগঠন ও আত্মশুদ্ধির মাস। এই মাসে ইসলামের মূল শিক্ষা অনুসরণ করে আমাদের ব্যক্তি ও সমাজজীবন গঠনের প্রতিজ্ঞা নিতে হবে। এক মাসের সংযম ও ইবাদতের মাধ্যমে আমরা যেন সারা বছর তাকওয়াভিত্তিক জীবনযাপন করতে পারি, সে বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে। আসুন, মাহে রমযানকে স্বাগত জানিয়ে আমাদের জীবনে সত্য, ন্যায় ও মানবতার আদর্শ প্রতিষ্ঠিত করি।"
সদর উপজেলার মজলিশে শুরার সদস্য ও বাগবাটি ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর সাবেক ছাত্র নেতা জনাব মাওলানা মোঃ ছানোয়ার হোসেন বলেন,"মাহে রমযান আত্মশুদ্ধি, সংযম ও তাকওয়া অর্জনের মাস। এই মাসে আমাদের উচিত বেশি বেশি ইবাদত করা, পবিত্র কুরআনের তেলাওয়াত করা এবং দান-সাদাকাহ বাড়ানো। ইসলাম শান্তি, ন্যায় ও মানবতার ধর্ম। রমযানের শিক্ষা আমাদেরকে পরস্পরের প্রতি দায়িত্বশীল হতে শেখায়। আসুন, আমরা সবাই রমযানের পবিত্রতা রক্ষা করি এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকি।"
মিছিল ও সমাবেশকে ঘিরে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। মাহে রমযানকে কেন্দ্র করে এলাকায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আধ্যাত্মিক আবহ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।