এবার গণপিটুনিতে নিহত হল ২ ডাকাত

ডাকাত
  © প্রতীকী ছবি

গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, ধর্ষণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়েছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ জনতা তাদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু করেছে। এবার শরীয়তপুরের ডাকাতির চেষ্টাকালে গণপিটুনিতে দুই ডাকাত নিহত হয়েছেন। তবে এ সময় ডাকাতের হাতবোমা ও এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। তাদের চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ডোমসার ইউনিয়নের তেতুলিয়া এলাকায় কীর্তিনাশা নদীতে বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টাকালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ডাকাত রিপনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের কালিরচর এলাকায় ও আনোয়ার দেওয়ানের বাড়ি শরিয়তপুরের জাজিরায়।

জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাতে একদল ডাকাত মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদেরকে ধাওয়া দেন। এ সময় ডাকাতরা পালিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা শরীয়তপুরের তেতুলিয়া এলাকায় আসলে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে তাদের স্পিডবোটের গতিরোধ করে। এ সময় ডাকাতরা হাতবোমা ও এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। 

পরে ডাকাতরা স্পিডবোট ফেলে পালানোর চেষ্টা করে। তবে ৭ জনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। পরে ডাকাতদের গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাদের মধ্যে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এদিকে, ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে চারজন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুনতাসি।

এ বিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, "ডাকাতির চেষ্টাকালে সাতজনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ডাকাতির ঘটনায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও স্পিডবোট জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।"