মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন গ্রামের সংঘর্ষ

সংঘর্ষ
  © সংগৃহীত

গ্রাম গ্রাম মারামারিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অখ্যাতি থাকলেও এবার টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার শোলাকুড়ায় সালিশ বৈঠকে পক্ষপাতিত্বের জেরে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এছাড়া শোলাকুড়া বাজারের ১৮-২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

আজ সোমবার (০৩ মার্চ) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত কয়েক দফায় সংঘর্ষ চলাকালে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত শুক্রবার বাংড়া ইউনিয়নের ‘পীরসাব’ বাড়িতে একই ইউনিয়নের মুলিয়া এবং সাকরাইল গ্রামের লোকজনদের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে 
আজ সোমবার দুপুরে মুলিয়া গ্রামে একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ওই সালিশে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদ বিরোধ মিটিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেন।

বৈঠক চলাকালে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদের পক্ষপাতিত্বমূলক কথার জের ধরে পুনরায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা শুকুর মাহমুদ গুরুতর আহত হন। আহত হওয়ার খবর তার নিজ গ্রাম সহদেবপুর পৌঁছালে তারাও এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এরপর ত্রিমুখী সংঘর্ষে সালিশ বৈঠকে আসা স্থানীয় বিএনপির অন্তত ১৫ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া কয়েক ব্যক্তি সামান্য আহত হন। এ সময় শোলাকুড়া বাজারে হামলা চালিয়ে ১৮-২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং দোকানগুলোতে লুটপাট চালানো হয়।

এদিন দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের তিনদিকে তিন গ্রামবাসী অবস্থান নিয়ে দফায় দফায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় ওই মহাসড়কে সকল প্রকার যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষে চলাকালে বিএনপি নেতাসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনে।

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তিন গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দাখিল করেনি।