অবৈধ সম্পদ অর্জন: স্ত্রী-সন্তানসহ পিআইও’র বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- মোঃ রবিউল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১২:০২ PM , আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫, ১২:০২ PM

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন ও ছেলে ফজলে রাব্বি রিয়নের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শহিদুল আলম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দুপুরে ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা করেন।
অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ পাবনা জেলার সুজানগর থানার হাসামপুর গ্রামের শমসের আলী মিয়ার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে দুদক। পরবর্তী ২০২৪ সালের ৮ মে আবুল কালাম আজাদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী জারির আদেশ দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আবুল কালাম আজাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা ৩ জুলাই সম্পদ বিবরণী দুদকে দাখিল করেন।
প্রথম মামলার আসামি হয়েছেন পিআইও আবুল কালাম আজাদ। এই মামলার এজাহারে বলা হয়, আবুল কালাম আজাদ ১ কোটি ৩২ লাখ ৪৬ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দ্বিতীয় মামলায় স্ত্রী মর্জিনা খাতুনের সঙ্গে আসামি হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। এ মামলায় স্বামীর অবৈধ আয় দ্বারা ১ কোটি ৫৬ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮৩ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন পূর্বক ভোগ দখলে রাখেন মর্জিনা খাতুন। যা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আর তৃতীয় মামলায় বাবার সঙ্গে আসামি হয়েছেন ফজলে রাব্বি রিয়ন। তার বিরুদ্ধে বাবার অবৈধ ১ কোটি ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯৪১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ভোগ দখলের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছিলাম। তবে মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই।