নোয়াখালীতে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে বিচারপ্রার্থী ব্যক্তিকে মারধর ও জমি দখলের অভিযোগ
- নোয়াখালী প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৭ PM , আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৬ PM

নোয়াখালীর সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে বিচার প্রার্থী জহির আলম (৪৭) নামের এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে মারধর ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে আন্ডারচর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম মাইজচরা আজাদ মোল্লার বাড়িতে বিচারপ্রার্থী ওই ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনা ঘটে। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযুক্ত আজাদ মোল্লা আন্ডার চর ইউনিয়ন যুব দলের সদস্য সচিব ও প্রয়াত বিএনপি নেতা হারুন মোল্লার ভাতিজা।
ভুক্তভোগী জহির আলম জানান, আন্ডারচর ইউনিয়নের মাইজচরা এলাকায় আমার পৈতৃক সম্পত্তি ২ একর ৯০ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভোগদখলে ছিলাম। আন্ডারচর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মানছুর আহমেদ বর্গা দেওয়ার নাম করে ওই জমি জোরপূর্বক নিজের দখলে নিয়ে নেন। এরপর ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর আমি আমার জমি ফিরে পেতে চাইলে আন্ডারচর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আজাদ মোল্লা সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দেন। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে আমার থেকে একটি ব্ল্যাংক স্ট্যাম্পও নেয় তিনি।
কিন্তু পরবর্তীতে তিনি বিষয়টি সমাধান না করে কালক্ষেপণ করতে থাকে এবং কোনোরুপ ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আমার নিকট ১ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি ওনাকে (আজাদ মোল্লা) কে বারবার কল দিলে ওনি আমার নাম্বার ব্লক করে দেন।
দীর্ঘদিন বিচারের আশ্বাস দিলেও আমার প্রতিপক্ষের লোকজনের পক্ষ হয়ে পুনরায় তার সহায়াতায় সে জমি জোরপূর্বক দখল করে। পরবর্তী ওনার এহেন কার্যকলাপ সন্দেহজনক হলে আমার থেকে নেওয়া কাগজপত্রের জন্য গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তার বাড়িতে গিয়ে কাগজপত্র চাইলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে একবার আমাকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আমি না গিয়ে পুনরায় তার ঘরের সিঁড়িতে অবস্থান নিলে ফের আমাকে মারধর করে। ঐ ঘটনার ভিডিও আমি আমার মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখি।
আমি গোপনে মারধরের ভিডিও ধারণ করেছি কেন? এনিয়ে গত ১৭ এপ্রিল আজাদ মোল্লার নেতৃত্বে সঙ্গবদ্ধ একটি দল আনন্দবাজার এলাকায় আমাকে ডেকে নিয়ে ঘিরে ফেলে এবং জোরপূর্বক স্টেটমেন্ট নিয়ে আমাকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। তারা আমাকে বলে, ক্ষমা না চাইলে তুলে নিয়ে যাবে, মেরে ফেলবে, আমি বাধ্য হয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাই।
অভিযুক্ত যুবদল নেতা আজাদ মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একজন লোক একজনের গায়ের দিকে হুট করে তো আসে না। ওনি আমার বাড়ির দিকে আসার সময় ভিডিও করতে করতে এসেছেন। কোনো অনুমতি ছাড়া কারো বাড়িতে কি কেউ ভিডিও করতে পারেন? সেখানে আমার স্ত্রী, মা, বোনেরা ছিলেন।
জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা যুব দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান বলেন, “ভুক্তভোগী ঐ ব্যক্তির নিকট থেকে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা কোনো ভাবেই নেতাকর্মীদের এসব অন্যায় সহ্য করিনা। স্থানীয় পর্যায়ে বিষয়টি মীমাংসার জন্য আমরা তদারকি করছি।”