তেঁতুলিয়ায় এলজিইডি কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

তেঁতুলিয়া
  © টিবিএম ফটো

তেঁতুলিয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয়ে (এলজিইডি) অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের গুয়াবাড়ি থেকে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া হাজিপাড়া পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজে অনিয়মের অভিযোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশনের সম্মিলিত ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়। 

অভিযানে ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সম্মিলিত জেলা কার্যালয় ঠাকুরগাঁওয়ের সহকারি পরিচালক ইমরান হোসেন। পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তেঁতুলিয়া কার্যালয়ে গিয়ে সড়কটির কাজের অগ্রগতি ও নথি যাচাই বাছাই ও নমুন সংগ্রহ করে  তা ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের কর্মকর্তা। 

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন দুদকের পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও সম্মিলিত কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আদুরী আক্তার, কনস্টেবল আব্দুস সামাদ, উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ইদ্রিস আলী খান, সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার আল আলামিন।

জানা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উদ্যোগে ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৯২ টাকা ব্যয়ে তিরনইহাট ইউনিয়নের গুয়াবাড়ী থেকে সিপাইপাড়া ইউনিয়নের হাজিপাড়া পর্যন্ত  ৬ হাজার ২১০ মিটার সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঝিনাইদহ জেলা শহরের ভুতের গলি মো. মিজানুর রহমান পেলেও দরপত্রে নির্বাচিত ঠিকাদারের কাছ থেকে নিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের তানিয়া কনস্ট্রাকশনের মো. আব্দুস সামাদ। বর্তমানে আব্দুস সামাদ কাজটি করছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণ কাজে বালুর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে মাটি ও নিম্নমানেন ইট ব্যবহার হচ্ছে। বিষয়টি সরেজমিনে গেলে রাস্তার সাব বেইজে বালুর পরিবর্তে মেশানো হচ্ছে মাটি। সাব বেইজে অর্ধেক খোয়া আর অর্ধেক বালু দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা। এছাড়া সাব গ্রেডেও বালুর পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে দেখা যায়। কাজের ছবি ও ভিডি করতে গেলে সাংবাদিকদের বাধা সৃষ্টি করা হয়। পরবর্তীতে সড়কের অনিয়মের রিপোর্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নজরে আসে দুদকের। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতেই অভিযান চালায় দুদক।
 
জেলা কার্যালয় ঠাকুরগাঁওয়ের দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারি পরিচালক ইমরান হোসেন জানান,তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের এলজিইডির উদ্যোগে একটি রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ রাস্তা নির্মাণের সময় স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে, নিম্নমানের বালু ও  ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে আমরা নমুনা সংগ্রহ করেছি। এগুলো আমরা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরনের পর এর সত্যতা জানা যাবে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী খাঁন জানান, ঠাকুরগাঁও থেকে দুর্নীতি দমন কমিনের সহকারি পরিচালকসহ টিম এসেছিলেন। উনারা সরেজমিনে সড়ক দেখে এসেছেন। সড়কের নির্মাণ কাজের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এগুলো ল্যাবে পাঠানো হবে। তবে সড়ক উন্নয়নের যে কাজ চলছে তাতে ইটের খোয়া ও বালির মান খুবই ভালো। বিশেষ করে তেঁতুলিয়াতে বালি আর পাথরে এখানে মাটির কোন প্রশ্নই আসে না।যেহেতু তেঁতুলিয়ায় খুব সহজে বালি আর পাথর মিলে। তাই বলতে পারি আমাদের উন্নয়নের কাজ খুবই ভালোভাবে চলছে।