এবার আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি মিছিল

শরীয়তপুর
  © সংগৃহীত

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানায় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে মিছিল ও পোস্টারিং করা হয়। সংগঠনের একটি ঝটিকা মিছিলের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর জবাবে পরদিন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে পাল্টা মিছিল করে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত ১১টা থেকে শুরু করে শুক্রবার রাত পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। সখিপুরের প্রতিটি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

স্থানীয় এবং থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগসহ এর অঙ্গ সংগঠেনের নেতাকর্মীরা। ওই মিছিলটি কয়েকটি ফেসবুক  আইডি থেকে লাইভ করা হয়। এর মধ্যে মনির হোসেন নামের  একটি আইডি থেকে লাইভ করা ঝটিকা মিছিলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরদিন শুক্রবার দুপুর থেকে সখীপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে পাল্টা মিছিল করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মিছিলের প্রতিবাদে সখীপুর স্কুলমাঠে শনিবার সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। 

স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর সখিপুরে দলীয় কার্যক্রম ছিল অনেকটাই নিস্ক্রিয়। এর মধ্যে হঠাৎ করে রাতের অন্ধকারে একটি মিছিল বের করা হয় এবং বিভিন্ন জায়গায় দলীয় স্লোগানসংবলিত পোস্টার লাগানো হয়। তবে মিছিলে কোনো শীর্ষস্থানীয় নেতাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশের মুখ ছিল মুখোশ বা কাপড়ে ঢাকা। পোস্টারগুলোতেও কারও নাম বা ছবি ছিল না, ছিল শুধু সাধারণ দলীয় বার্তা ও স্লোগান।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন আইডি থেকে ঝটিকা মিছিলের ফেসবুক লাইভ করা হলেও মনির হোসেন নামের একটি আইডির লাইভটি ছড়িয়ে পড়েছে। মনির হোসেন সখিপুর থানা দক্ষিণ তারাবনিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি।

সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবায়েদুল হক শনিবার সকালে বলেন, ফেসবুক পোস্টে  মিছিলটি দেখা গেছে সেটি শরীয়তপুর এবং চাঁদপুর সীমানা সংলগ্ন এলাকা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মিছিলটি চাঁদপুরের ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নে। তবে সখীপুর থানার কিছু লোকজন সেই মিছিলে থাকতে পরে। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সখিপুর থানার প্রতিটি ইউনিয়নে অভিযান চলছে। গত রাতে ২০ থেকে ২৫ বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অভিযান চলমান আছে।