ফটিকছড়িতে ভূয়া ওয়ারিশ সনদে অর্থ আত্মসাতের পায়তারার অভিযোগ
- কামরুল হাসান, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১১:৫৮ AM , আপডেট: ২৪ মে ২০২৫, ১১:৫৮ AM

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভায় ভূয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে হয়রানী ও অর্থ আত্মসাতের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে সাহেদ মোহাম্মদ আরমান নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বুধবার (২১ মে) পৌর প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ রাশেদ নামের এক ভূক্তভোগী।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডস্থ পূর্ব-ফরহাদাবাদ গ্রামের মৃত মৌলানা আব্দুল হালিম নামের এক ব্যক্তি, এক স্ত্রী ও তিন ভ্রাতুষ্পুত্র ওয়ারিশ রেখে মারা যান। কিন্তু তার পালিত পুত্র সাহেদ মোহাম্মদ আরমান ও পালিত কন্যা সাহেদা খানম রুমি মৃত মৌলানা আব্দুল হালিমের নিজ পুত্র ও কন্যা দাবি করে গত বছরের ১২ আগস্ট নাজিরহাট পৌরসভা থেকে ক্রমিক নং: ৪১৩৬ মূলে একটি ওয়ারিশ সনদ ইস্যু করেন। কিন্তু বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারী কার্যালয়ে উক্ত সনদ দেখে এলাকার অনেকেই বিষ্মিত হলে এই সনদের সতত্যা যাচাই করতে পৌর কর্তৃপক্ষ গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর একটি নোটিশ দেন। কিন্তু শুনানীকালে পালিত পুত্র সাহেদ মোহাম্মদ আরমান ও পালিত কন্যা সাহেদা খানম রুমি মৃত মৌলানা আব্দুল হালিমের ওয়ারিশ প্রমানে ব্যর্থ হন।
এদিকে, পৌরসভার নথি ও সনদ বই যাচাই করে দেখা যায়, ৪১৩৬ নং ক্রমিকের সনদ গত ২০২২ সালের ২৭ মার্চ প্রদান করা হয় একই পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডস্থ পূর্ব-সুয়াবিল মরহুম মৌ. এস এম আইয়ুব মিয়াকে। ওই ক্রমিন সনদে ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মৃত মৌ. আব্দুল হালিম, পিতা: মৃত নেজামত আলী নামের কোনো ওয়ারিশ সনদ ইস্যু করা হয়নি।
অভিযোগকারী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, ‘প্রকৃত অর্থে আমরা মৃত মৌলানা আব্দুল হালিমের ওয়ারিশ থাকার পরও দূর্ত প্রকৃতির শাহেদ মোহাম্মদ আরমান ও তার বোন সাহেদা খানম রুমি ভূয়া ওয়ারিশ সনদ তৈরী করে আমাদের নানা ভাবে হয়রানী ও প্রকৃত মালিকের সম্পত্তি ও অর্থ আত্মসাতের পায়ঁতারা করছেন। আমি এ বিষয়ে যথাযথ কৃর্তপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে সাহেদ মোহাম্মদ আরমান বলেন, ‘পৌর কার্যালয়ের পারভেজ ও অজানা এক ব্যক্তি আমাকে ওয়ারিশান সনদটি বানিয়ে দিয়েছেন। সনদটি ভূয়া কিনা জানিনা।’
নাজিরহাট পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে আসায় তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা হিসেবে প্রকৃত ওয়ারিশ যাতে ক্ষতির মুখে পড়তে না হয়, সেহেতু তাদের প্রত্যায়ন দিয়েছি। আশা করি এটি তাদের কাজে লাগবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘ভূয়া ওয়ারিশ সনদ দিয়ে যারা সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেব।’