হারানো যৌবন ফিরে পেতে মানুষ খুন

কবিরাজ
লিটন মালিথা ও কথিত কবিরাজ  © সংগৃহীত

দাম্পত্যজীবনে অসুখী ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বাসিন্দা লিটন মালিথা। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় হারানো যৌবন ফিরে পেতে কবিরাজ তাকে কারও পুরুষাঙ্গ, অণ্ডকোষ ও চোখের মণি জোগাড় করতে বলেন।  কথিত কবিরাজ আব্দুল বারেকের কথায় নিজের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে কৃষিশ্রমিক হিসেবে কাজ নিয়ে যশোরের বাঘারপাড়ায় অবস্থান নেন লিটন। সেখানে গিয়ে আরেক কৃষিশ্রমিক নকিম উদ্দীনকে হত্যার পর তার পুরুষাঙ্গ, অণ্ডকোষ ও একটি চোখ নিয়ে যান। 

বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান ।

তিনি জানান, লিটন মালিথা ও নকিম উদ্দীন রাতে খাবার খেয়ে এক কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। বাড়ির মালিক বেনজির আহম্মেদ পরদিন সোমবার সকাল ৬টায় শ্রমিকদের ডাক দিলে বাইরে থেকে দরজা খোলা দেখতে পান। দরজা খোলা দেখে তিনি ভেতরে গিয়ে দেখেন জখম অবস্থায় কৃষক নকিম উদ্দীনের মরদেহ খাটের ওপর পড়ে আছে।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় যশোর ডিবি পুলিশের একটি দল গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা থেকে কবিরাজ আব্দুল বারেক ও বুধবার মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের চড় বাইলজুরী এলাকা থেকে লিটন মালিথাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় লিটন মালিথার কাছ থেকে কেটে নেওয়া অঙ্গগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। কবিরাজ আব্দুল বারেক চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মোজাম্মেল হকের ছেলে। আর লিটন মালিথা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার মোহাম্মদ জুমা গ্রামের হানিফ মালিতার ছেলে।

এর আগে গত সোমবার দিবাগত রাতে যশোরের বাঘারপাড়ায় উপজেলার দরাজহাট ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে কৃষি শ্রমিক নকিম উদ্দীনকে হত্যা করা হয়।