প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার, বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২২, ০৪:৪০ PM , আপডেট: ০৩ জুন ২০২২, ০৪:৪০ PM

প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে ছুটে গিয়েছিল স্কুলছাত্রী সামিহা আফরিন মৌ। কিন্তু প্রতারক সেই প্রেমিক তার সঙ্গে দেখা করলেন না। সেখানে তার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে একটি হোটেলে তোলে সেখানকার টমটম চালক। সেখানে ধর্ষণের শিকার হয় তিনি।
পরদিন মৌকে চট্টগ্রামের বাসে তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা তাকে বকাঝকা করে। আর তা সহ্য করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত নিজের ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় মৌ।
শুক্রবার (৩ জুন) সকালে আত্মহত্যার আগে একটি সুইসাইড নোটও লিখে যায় সে। তাতে ঘটনার শিকার হওয়া ও নিজের অসহায়ত্বের চিত্র তুলে ধরে সে। নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন টেপটাইল এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকত মৌ। সে ওই এলাকার নুর আলমের মেয়ে ও ডা. মাজহারুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, বায়েজিদ বোস্তামীর টেপটাইল এলাকায় ফুলকলি মিষ্টি কারখানার পাশেই তাদের বাসা। সেই কারখানায় কাজ করত জিসান নামে এক যুবক। তার সঙ্গে মৌয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই ছেলে এক সময় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে চলে গেলেও মৌয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। কাউকে না জানিয়ে ৩১ মে মৌ তার স্কুল বান্ধবী মাহমুদা মুক্তাকে নিয়ে ওই ছেলের সঙ্গে দেখা করতে কক্সবাজারে যান। সেখানে যাওয়ার পর জিসান মৌয়ের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানায়। মৌ টমটম নিয়ে তাকে খুঁজতে থাকে। শেষ পর্যন্ত খোঁজ পায়নি সে।
এক পর্যায়ে সঙ্গে যাওয়া বান্ধবী চট্টগ্রামে ফিরে আসে। আর এই সুযোগটি নেয় টমটম চালক রুবেল। সে রাতে মৌকে একটি হোটেলে রেখে ধর্ষণ করে। পরদিন ১ জুন মৌকে সে চট্টগ্রামের একটি বাসে তুলে দেয়। বাড়িতে ফিরে শুক্রবার (৩ জুন) সকালে আত্মহত্যা করে মৌ।
নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, বায়েজিদ নগর আবাসিক এলাকার একটি ভবন থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।