সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: লাশ শনাক্তে ডিএনএ সংগ্রহ শুরু

আগুন
ফাইজাকে নিয়ে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে এসেছেন তার মামা। ডিপোতে দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ সোবহানের পরিচয় জানতে নমুনা পরীক্ষার জন্য তার এই সাত মাসের শিশুকন্যা নিয়ে এসেছে পরিবার  © সংগৃৃহীত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে নির্ধারিত বুথে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সোমবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় নিহতদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করে সংস্থাটির ফরেনসিক বিভাগ। এর নেতৃত্বে দিচ্ছেন চট্টগ্রাম সিআইডির এডিশনাল এসপি জাহাঙ্গীর আলম।

সকাল থেকেই সেখানে ভিড় করছেন নিহতদের স্বজনরা। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুর্ঘটনায় যারা এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন তাদের স্বজনদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হচ্ছে। নিখোঁজের বাবা-মা, ভাই-বোন, কিংবা সন্তানদের মধ্যে যে কোনো দুজনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। যেসব লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি সেসব লাশের নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।

ডিএনএ রিপোর্ট পেতে এক মাস কিংবা আরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন ডিএনএ সংগ্রহকারীরা।

এদিকে আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একযোগে কাজ করছেন। ঘটনাস্থলে যৌথভাবে কাজ করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপি ও স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস হোসেন চৌধুরী জানান, নিহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যও রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর রাসায়নিকের কন্টেইনারে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। আগুন নেভাতে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একযোগে কাজ করছেন। অগ্নিকাণ্ড ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জন হয়েছে।