৯৯৯-এ ফোনে তিন শিশু প্রাণে বাঁচলো

৯৯৯-এ ফোনে তিন শিশু প্রাণে বাঁচলো
ড্রেনে আটকা পড়া তিন শিশু  © সংগৃৃহীত

যশোরে ড্রেনে আটকা পড়া তিন শিশুর প্রাণ বাঁচলো ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে কলের মাধ্যমে। দায়িত্বশীল এক পথচারী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের তৎপরতায় ড্রেন থেকে উদ্ধার করা যায়। যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক মনোরঞ্জন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মঙ্গলবার (৭ জুন) বিকেলে যশোর শহরের রেলগেট তেঁতুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকৃত তিন শিশুর হলো  যশোর শহরের শংকরপুর ছোটনের মোড় এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে নিরব (১৪), একই এলাকার শুকুর আলীর ছেলে নয়ন হোসেন (১৩) ও নূর ইসলামের ছেলে হৃদয় হোসেন (১৬)।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, খালিদ হাসান নামে এক পথচারী মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৩টায় যশোর শহরের রেলগেট তেঁতুলতলা থেকে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে জরুরি উদ্ধার সহায়তা চেয়ে অনুরোধ জানান।

খালিদ হাসান নামে ওই পথচারী ফোনে  জানান,  ড্রেনের ভেতর কয়েকটি শিশু আটকা পড়েছে। তিনি শিশুদের কান্নাকাটি ও চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলেন। ড্রেনের ছোট্ট একটি ছিদ্র দিয়ে তিনি কান্নারত এক শিশুকে দেখতে পেয়েছেন। তার কাছ থেকে জানতে পেরেছেন ড্রেনের ভেতরে তার সঙ্গে আরও দুই শিশু রয়েছে।

৯৯৯-এর কনস্টেবল মোসাম্মৎ ফাতেমা আক্তার কলটি রিসিভ করেছিলেন। তিনি তাৎক্ষণিক যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতার জন্য অনুরোধ জানানোর পর  খবর পেয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ড্রেনে নামার আর কোনো পথ না থাকায় ঢালাই করা ড্রেনের কংক্রিট ড্রিল করে ভেঙে প্রথমে এক কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। এরপর ড্রেনের ভেতর আধা কিলোমিটার দূর থেকে আরও দুই শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

তিন শিশুর ড্রেনে আটকা পড়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে,  মাছ ধরার জন্য ড্রেনে নেমে হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে যাওয়ার পর অন্ধকার ড্রেনের ভেতর তারা দিক ও পথ হারিয়ে ফেলে।

যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক মনোরঞ্জন সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,  ড্রেনের গন্ধে ও ঢাকনা বন্ধ থাকায় সেখানে অক্সিজেনের ঘাটতি ছিল। এজন্য শিশুরা কিছুটা অসুস্থও হয়ে পড়ে। উদ্ধারের পর একটু বিশ্রাম নিয়ে সুস্থবোধ করলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।