বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সিলেটের ১৬ উপজেলা
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২২, ০৭:৩৮ PM , আপডেট: ১৭ জুন ২০২২, ০৭:৩৮ PM

ভয়াবহ বন্যায় সিলেটের ১৬ টি উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে বন্যায় বিপাকে পড়া মানুষদের অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের ঘাটতিতে নেটওয়ার্কের অবস্থা দুর্বল। ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে মোবাইল ফোনে। আর মোবাইল ফোন ঠিকমতো কাজ না করায় উদ্ধার যানের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থারও ভীষণ অবনতি হচ্ছে।
শুক্রবার(১৭জুন) বিকেলে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন জানান, গ্রিডে সমস্যা হওয়ায় সুনামগঞ্জের সব উপজেলাসহ বিভাগের ১৬ উপজেলা পুরোপুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এদিকে বিদ্যুতের কারণে নেটওয়ার্কের সমস্যায় ঠিকমত কাজ করছে না মোবাইল ফোনও। উদ্ধার যানের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বিদ্যুৎ ব্যবস্থার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থারও ভীষণ অবনতি হচ্ছে জানিয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট এখন একেবারেই বিচ্ছিন্ন। পুরো সুনামগঞ্জ জেলাসহ মোট ১৬টি উপজেলায় বিদ্যুৎ নেই। যার কারণে মোবাইল ফোন যোগাযোগও ব্যাহত হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় কোনরকমে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক চালু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর আগে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের ফেইসবুক পেইজে জানানো হয়েছে, বন্যার পানি ছাতক ও সুনামগঞ্জ গ্রিড উপকেন্দ্রে প্রবেশ করায় নিরাপত্তার স্বার্থে ওই উপকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। সে কারণে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ।
“অব্যাহত বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেটের কুমারগাঁও উপকেন্দ্র ঝুঁকির মধ্যে আছে। যে কোনো সময় এই উপকেন্দ্রও বন্ধ করা প্রয়োজন হতে পারে।”
বন্যাদুর্গত সিলেট ও সুনামগঞ্জে উদ্ধার ও ত্রাণকাজে সেনা সদস্যদের মাঠে নামানোর কথাও জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার বলেন, প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মানুষকে উদ্ধার করা এবং নিরাপদে নিয়ে আনা। স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। এছাড়াও সিলেট ও সুনামগঞ্জ খুবই ভয়াবহভাবে বন্যা আক্রান্ত হওয়ায় পানিবন্দিদের উদ্ধার করে এনে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়া সিলেট বিভাগে পানি বেড়ে যাওয়ায় সিলেটের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ সেখানে রানওয়ের কাছাকাছি পানি এসে পড়েছে।
কুড়িগ্রামের ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলের কারণে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দী।