ওসমানী মেডিকেলে পানি ঢুকে পড়েছে

ওসমানী মেডিকেলে পানি ঢুকে পড়েছে
ওসমানী মেডিকেলে পানি ঢুকে পড়েছে  © সংগৃৃহীত

টানা বৃষ্টিতে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতাল এলাকায় পানি ঢুকে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে নিচতলার ওয়ার্ডগুলোয় পানি ঢুকতে শুরু করে। ফলে হাসপাতালের জেনারেটরে পানি ঢোকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় হাসপাতালের অস্ত্রোপচার বিভাগ ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) চিকিৎসাব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে।

শনিবার(১৮জুন) দুপুর ১২ টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালের নিচতলার ওয়ার্ডগুলোতে পানি ঢুকে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া 

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া সিলেট সিটি করপোরেশনের বিশেষ জেনারেটরটি হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এতে অন্তত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ও অস্ত্রোপচার বিভাগটি সচল রাখা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, আজ সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ১ হাজার ৭৬০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এখন সেটি আরও বাড়তে পারে। তবে হাসপাতালে পানি ঢোকায় কয়েকজন রোগী চলে গেছেন।

এছাড়াও দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে নতুন করে নগরের অন্তত ২৫টি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। 

এদিকে  সিলেট বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানির উচ্চতা বাড়ায় বিদ্যুৎ বিতরণের উপকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এসব কথা জানিয়েছে।

পিডিবির পরিচালক সাইফুল হাসান বলেন, পানির উচ্চতা বাড়ায় সিলেটে বিদ্যুৎ বিতরণের উপকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গত কয়দিন ধরেই ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে প্লাবিত হতে থাকে সিলেট ও সুনামগঞ্জের একের পর এক এলাকা।

সিলেটের কয়েকটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ও সঞ্চালন লাইন পানিতে তলিয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা যায় অনেক এলাকায়। পানি উঠতে শুরু করে কুমারগাঁওয়ে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিড লাইনের উপকেন্দ্রেও। এই উপকেন্দ্র দিয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

দুর্ভোগে মাত্রা যোগ করেছে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কহীনতা। সিলেট জেলা শহরে বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না।

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। সেনাবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টারও আজ শনিবার দুপুর থেকে উদ্ধার কাজে শুরু হবে।