সিলেটে মধ্যরাতে ডাকাত আতঙ্ক

সিলেট
গভীর রাতে আতঙ্কিত হয়ে অনেকে রাস্তায় বের হয়ে আসেন  © সংগৃৃহীত

সিলেটের বন্যাকবলিত এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ফলে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে সিলেট নগর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক এলাকাবাসীর। শনিবার (১৮ জুন) গভীর রাত আড়াইটার দিকে বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়। তবে পুলিশ বলছে, ডাকাতদলের হানা দেওয়ার খবর গুজব। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের টহল দল রয়েছে।

জানা গেছে, নগরীর মধুশহীদ, মুন্সিপাড়া, কেওয়াপাড়া, কানিশাইল শামিমাবাদ আবাসিক এলাকা, মেডিকেল এলাকা, বাগবাড়ি, লামাবাজার, শেখঘাট, মদিনা মার্কেট, সাগর দিঘীর পাড়, হাউজিং এস্টেট, এয়ারপোর্ট এলাকার মংলির পার, শিবগঞ্জ, সোনারপাড়া, উপশহর, টিলাগরসহ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়। মাইকিং করে বলা হয়, এলাকায় ডাকাত হানা দিয়েছে। কেউ যাতে বাসার দরজা না খুলেন।

এই বিষয়টির গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে তখন টহল জোরদার করতে দেখা যায়।  রাত আড়াইটার দিকে বিভিন্ন সড়কে সাইরেন বাজিয়ে টহল দিয়েছে পুলিশের গাড়ি।   

এদিকে, ফেসবুকে দেওয়া একটি ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, পুলিশ সদস্যরা একটি মোটরসাইকেলকে ধাওয়া করছেন। সাইকেলে দুই আরোহী দ্রুতগতিতে পালিয়ে যাচ্ছেন।   

এছাড়া শাকিরুজ্জামান সুমন নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর আপলোড করা নগরীর শিবগঞ্জের আরেকটি ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক অন্ধকারের মধ্যে একটি বাসার সীমানা প্রাচীর দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে।    

সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ বলেন, ৯৯৯ থেকে ফোন দিয়ে বলা হয়- নিশাইলে ডাকাত, এরপর শামিমাবাদ। পরে বলা হয়- সুরমা আবাসিক এলাকা। এভাবে বিভিন্ন এলাকার নাম বলা হয়। ফেসবুকের মাধ্যমে ডাকাত আতঙ্কের বিষয়ে ‘গুজব’ পোস্ট দেন বিভিন্নজনে। বিভিন্ন মসজিদে মাইকিং করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা টহল জোরদার করি। কিন্তু এক এলাকায় গেলে বলে আরেক এলাকায় ডাকাতের কথা শোনা যায়। এভাবে ক্রমান্বয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তারপরও এসএমপি কমিশনের নির্দেশনায় কোতোয়ালি পুলিশ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।


মন্তব্য