ঢামেকে ভর্তি রোগীর মগজ সাভারে

রোগী
মুমূর্ষু আরশাদুল  © সংগৃৃহীত

প্রতিপক্ষের হামলায় মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ময়মনসিংহের নান্দাইলের আরশাদুলকে। অন্যদিকে তাঁর মাথার মগজ রাখা হয়েছে সাভারের ইনস্টিটিউট অব টিস্যু ব্যাংকিংয়ে। সুস্থ হওয়ার তিন মাস পর মাথার সেই অংশ সংযোজন করা হবে। চিকিৎসারত আরশাদুলের মাথায় ব্যান্ডেজের ওপর চিকিৎসক লিখে রেখেছেন- 'হাড় নেই, চাপ দিবেন না'।

এইচএসসি পরীক্ষার্থী আরশাদুল (২০) ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার অরণ্যপাশা গ্রামের চা বিক্রেতা মঞ্জিল মিয়ার ছেলে। পড়ালেখার ফাঁকে তিনিও নান্দাইল চৌরাস্তায় মনিহারি ব্যবসা করেন।

স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, গত শনিবার আরশাদুলের ছোট ভাই আবদুল আহাদ তাদের প্রতিবেশী সোহেলদের জমির আইলের নালায় মাছ ধরার জন্য একটি ফাঁদ পেতে রাখে। এক সময় নবী হোসেনের ছেলে জুনাইদ সেটি তুলে নিয়ে যায়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে ঝগড়া হলেও বিষয়টি তাৎক্ষণিক মিটমাট হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর আরশাদুল বরাবরের মতো নবী হোসেনের বাড়ির সামনে দিয়ে তাঁর দোকানের উদ্দেশে রওনা দেন। এ সময় বাড়ির সামনে ওতপেতে থাকা নবী হোসেন ও তাঁর ছেলে সুজন মিয়া, রুবেল মিয়া, রিপন মিয়া আরশাদুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন।

তারা আরও জানায়, হামলায় তাঁর মাথা থেকে মগজ বেরিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় আরশাদুল ও আহত তাঁর ছোট ভাই মাসুদকে প্রথমে নান্দাইল উপজেলা হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়ে। পরে রাতেই আরশাদুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।


মন্তব্য