ভোলা বাদে এখন ৬৩ জেলা ফেরিমুক্ত সড়ক নেটওয়ার্কে

পদ্মা সেতু
ফেরি দিয়ে পারাপার  © ফাইল ফটো

ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক দিয়ে বাংলাদেশ একটি ব-দ্বীপ। পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা- এই তিনটি নদী দেশের মূল ভূখণ্ডকে চারটি ভাগে ভাগ করেছে। ঢাকা ঘিরে মধ্যাঞ্চল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ নিয়ে পূর্বাঞ্চল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ নিয়ে উত্তরাঞ্চল, খুলনা ও বরিশাল নিয়ে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল। 

‘কাঁচপুর’, ‘দাউদকান্দি’, ‘দ্বিতীয় মেঘনা সেতু’ ও ‘সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু’ রাজধানীর সঙ্গে পূর্বাঞ্চল ফেরিমুক্ত সড়কপথ তৈরি করেছে। ‘বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু’ ও ‘লালন শাহ সেতু’ উত্তরের সঙ্গে মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে মিতালি গড়েছে। 

আজ শনিবার (১৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ফেরিমুক্ত সড়কে যুক্ত হলো দেশের চারটি অঞ্চল। এখন শুধু দ্বীপজেলা ভোলা ফেরিমুক্ত সড়ক যোগাযোগের বাইরে রয়েছে। 

আজকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট থেকে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা পর্যন্ত ২৪৬ কিলোমিটার সড়কপথ ফেরিমুক্ত হবে। রাজধানীর পাশ দিয়ে প্রবাহিত বুড়িগঙ্গা নদীর পোস্তোগলায় ‘বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী’ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এ সেতু হয়ে পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক এক্সপ্রেস ওয়েতে মিলিত হয়েছে। বুড়িগঙ্গা নদীতে আলুবাজার এলাকায় আরো একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। 

পদ্মা সেতু পর্যন্ত ধলেশ্বরী নদীতে পরপর দুটি সেতু, ইছামতি নদীতে এবং মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের কাছে মুন্সীগঞ্জ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর ওপারে মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদীর উপর ‘হাজী শরীয়তুল্লাহ সেতু’ নির্মাণ করা হয়েছে।

ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের টেকেরহাটে কুমার নদীতে ‘টেকেরহাট সেতু’। বরিশালের দোয়ারিকা নদীর উপর ‘এমএ জলিল সেতু’, শিকারপুর নদীর উপর ‘ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু’ বিভাগীয় শহর বরিশাল ফেরিমুক্ত সড়কযোগাযোগ যুক্ত হয়েছে।