পদ্মা সেতু

ঈদে খুলনায় ট্রেনের যাত্রী কমেছে অর্ধেক!

ঈদুল আজহা
খুলনা রেল স্টেশন  © সংগৃৃহীত

ঈদে বাড়ি ফিরতে টিকিট প্রত্যাশীদের প্রতিবারই খুলনা রেল স্টেশনে যুদ্ধে নামতে হতো। আর এর সুযোগ নিতো কালোবাজারিরা। অতি দামে চলতো টিকিট বিক্রির কারসাজি। কাঙ্খিত টিকিট পেতে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে করতে হতো তদবির। তবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর সড়কপথে যাতায়তের সুবিধা বেড়েছে। ফলে ঈদগামী মানুষের সেই ভোগান্তির চিত্র পাল্টে গেছে। এর ফলেই খুলনা থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে যাত্রীসংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

খুলনা রেল স্টেশনের ট্রাফিক ইনস্পেক্টর শামীমুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ ভালো হয়ে গেছে। যার কারণে ঢাকায় যাওয়ার সময় কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে ট্রেনের ওপর। ট্রেনে প্রায় ৫০ শতাংশ যাত্রী কমেছে।

গ্রীন লাইন পরিবহনের রয়্যালের মোড়ের কাউন্টারের বুকিং সহকারী রিপন হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় খুলনা-ঢাকা রুটে যাত্রীর তিন চার গুণ চাপ বেড়েছে।

খুলনা রেলস্টেশনের বুকিং সহকারীরা জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়াতে ট্রেনের যাত্রীর সংখ্যা বেশ কমে গেছে। এখন সড়কপথে যাতায়াতে সুবিধা হওয়ায় ঢাকাগামী যাত্রীরা আর আগের মতো ট্রেনে আসছেন না।

খুলনা রেল স্টেশন টিকিট কাউন্টার সূত্রে জানা যায়, খুলনা-ঢাকা রুটে সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেস নামের দুটি ট্রেন চলাচল করে। ২৫ জুন ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসের এসি বাথ বরাদ্দ সিট ৬৪টি বিক্রি হয়েছে ৬৩টি, এসি চেয়ার বরাদ্দ ৭২টি বিক্রি ৭২টি, শোভন চেয়ার ১৮৫টি বিক্রি হয়েছে ১৮৫টি। একইদিনে সুন্দরবন এক্সপ্রেস এ এসি বাথ বরাদ্দ ৪০টি বিক্রি ৪০টি, এসি চেয়ার বরাদ্দ ৯০টি বিক্রি ৯০টি, শোভন চেয়ার বরাদ্দ ১৫৫টি বিক্রি ১৫৫টি।