স্ত্রী ও মেয়েদের হত্যার পর যুবকের আত্মসমর্পণ

মৃত্যু
জহিরুল ইসলাম বাবু  © সংগৃহীত

এক যুবক  স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার পর আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। যশোরের অভয়নগরে জহিরুল ইসলাম বাবু (৩৭) নামে ওই যুবক তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার চেঙ্গুটিয়া গ্রামের শালবাগান এলাকার আব্দুস সবুরের বাড়ির পিছনের কলাবাগানে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই কামরুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলো বাবুর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথি (২৮), মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (৯) ও সাফিয়া খাতুন (২)।  

ওই যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলছিলো তার।  শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি অভয়নগরের কলাতলা থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে চাপাতলা গ্রামে আব্দুস সবুরের বাড়ির পেছনে কলাবাগানের কাছে গিয়ে প্রথমে স্ত্রী বিথিকে, পরে বড় মেয়ে সুমাইয়া খাতুন এবং শেষে ছোট মেয়ে সাফিয়া খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

তিনি আরও বলেন,  লাশ তিনটি সেখানে ফেলে বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজনকে ঘটনা জানান। এ সময় তার বড়ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ বাড়িতে গেলে বাবু আত্মসমর্পণ করেন। 

বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই কামরুজ্জামান বলেছেন, শুক্রবার বিকেলে জহিরুল ইসলাম বাবুকে আটক করা হয়েছে। বাবু প্রাথমিকভাবে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। অভয়নগর থানা পুলিশ লাশ তিনটি উদ্ধার করেছে।  

যশোর পুলিশের মুখপাত্র ডিবি ওসি রূপন কুমার সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে।