পাবলিক টয়লেটের সামনে প্রসূতির মৃত সন্তান জন্ম
- গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২২, ১২:২৮ PM , আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২২, ১২:২৮ PM

পটুয়াখালীর গলাচিপা ফেরীঘাট সংলগ্ন পাবলিক টয়লেটের সামনে নবজাতকের জন্ম দিয়েছে এক প্রসূতি মা। তবে সন্তানটি মৃত অবস্থায় জন্ম নিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ডাক্তারের স্ত্রী ও পল্লী চিকিৎসক এর অবহেলায় ওই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার বিকেলে গলাচিপা ফেরীঘাট সংলগ্ন পাবলিক টয়লেটের সামনে এক নবজাতকের জন্ম দেন মোসাঃ রিমা আক্তার (২২), রিমা চরমোন্তাজ ইউনিয়নের বউ বাজার এলাকার বাসিন্দা বিপ্লবের স্ত্রী। বর্তমানে ওই প্রসূতি মা রিমা আক্তার (২২) সুস্থ আছেন এবং তিনি বাড়িতে রয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রসূতি রিমার স্বজনরা জানান, সকাল থেকে রিমার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে তাকে পটুয়াখালী সদর হসপিটালে নিয়ে আসতে চাইলে চরমোন্তাজ ইউনিয়ন সাস্থ্য ক্লিনিকের চিকিৎসক সমীর ভুইঁয়ার স্ত্রী লাবনী রানী প্রসূতি রিমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নরমাল ডেলিভারি করাবে বলে সর্ব প্রকার হাতুড়ে চেষ্টা করেন। প্রসূতির আত্মীয় স্বজনরা রিমার অবস্থা জটিল দেখে বারবার বলা সত্বেও লাবনী রানী প্রায় ৬ ঘন্টা যাবত তার চেষ্টা অবহৃত রাখেন।
পরে সকল চেষ্টা শেষে দুপুর ১টার সময় প্রসূতি রিমার মা জোরপূর্বক লাবনী রানীর কাছ থেকে প্রসূতি রিমাকে পটুয়াখালী সদর হসপিটালের উদ্দেশ্যে চরমোন্তাজ হইতে দ্রুত স্পীড বোডে গলাচিপা নিয়ে আসলে পথমধ্যে হরিদেবপুর ফেরীঘাটে প্রসব যন্ত্রনা বেড়ে যায়। এসময় পাবলিক টয়লেটে গেলে সেখানেই নবজাতকের জন্ম হয়। পরে স্থানীয় চিকিৎসক অনুতোষ দাসকে দেখালে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।
রিমার শাশুড়ি পারভিন বেগম জানান, মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে বসে রিমার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। এ সময় স্বজনরা প্রথমে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক সবুজকে বাড়িতে নিয়ে আসে। সবুজ তার প্রেসার মেপে চিকিৎসা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে চলে আসেন।
প্রসূতি রিমা আক্তার বলেন, হয়তো আমাকে বাড়ি থেকে নিয়ে না আসলে আমিও মারা যেতাম। আমার স্বজনরা বার বার লাবনী রানীকে চিকিৎসা বন্ধ করতে বলেছে। তারপরও তিনি জোর পূর্বক চিকিৎসা করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত লাবনী রানীর কাছে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি মিডওয়েফারি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তবে এ রোগীর চিকিৎসা আমি দেইনি। পল্লী চিকিৎসক সবুজ ডাক্তার চিকিৎসা দিয়েছে, আমাকে তারা ডেকে নেয়ার পরে রোগীর অবস্থা দেখে তাকে পটুয়াখালী সদর হসপিটালে নিয়ে যেতে বলি সকল চিকিৎসা পল্লী চিকিৎসক সবুজ ডাক্তার করেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে পল্লী চিকিৎসক সবুজ এর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি ব্যস্ত, এ ব্যাপারে পরে কথা বললেন বলে দায় এড়িয়ে ফোন কল কেটে দেন।