ফেসবুকে পরিচয়, ৬ মাস প্রেমের পর শিক্ষিকাকে বিয়ে করলেন ছাত্র
- মোমেন্টস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২২, ০৫:১৯ PM , আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২২, ০৫:১৯ PM

ফেসবুকে পরিচয়ের পর ৬ মাস প্রেম। তারপর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সাড়া ফেলেছেন নাটোরের এক কলেজ শিক্ষিকা ও ছাত্র। তারা হলেন- মামুন হোসেন (২২) ও খাইরুন নাহার (৪০) দম্পতি। তাদের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায়। তবে বর্তমানে তারা নাটোর শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন।
জানা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। প্রথমে বিয়ে হয়েছিল রাজশাহীর বাঘায়। সেখানে তার এক সন্তানও রয়েছে। তবে পারিবারিক কলহে বেশি দিন টেকেনি সে সংসার। তারপর কেটে যায় অনেক দিন। এর মাঝে ফেসবুকে পরিচয় হয় মামুনের সঙ্গে। মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। তিনি নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ফেসবুকে ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের প্রথম পরিচয়। তারপর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। সপ্তাহ খানেক আগে তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হয়।
খাইরুন নাহার বলেন, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর মানষিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। প্রতিটা দিন, প্রতিটা মুহূর্ত মানষিক কষ্টে কাটতো। একবার আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ঠিক সেই সময় ফেসবুকে পরিচয় হয় মামুনের সঙ্গে। মামুন আমার খারাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছে এবং নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে। সে মন-প্রাণ দিয়ে ভালবাসে আমাকে। আর সেই ভালবাসা থেকেই দুজনের সিদ্ধান্তে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই।
তিনি বলেন, সামাজিকভাবে বিভিন্ন মহলে নানা কুৎসিত মন্তব্য থাকলেও সেসব তোয়াক্কা না করে নতুন সংসারে সুখেই দিন কাটাচ্ছি। আজীবন মামুনের সঙ্গে সংসার করে যেতে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।
খুবজীপুর মোজাম্মেল হক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আবু সাইদ বলেন, খায়রুন নাহার আমার প্রতিষ্ঠানের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। রোববার ফেসবুকের এই খবর দেখে প্রথমে ঘটনা জানলাম। কলেজে আসলে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানা যাবে।