বিয়েবিচ্ছেদের পরও মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা, খুন করে পুঁতে ফেলেন বাবা

বাবা
  © সংগৃৃহীত

রংপুরের পীরগাছায় তরুণী লিপি বেগম (২৫) হত্যার ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। মামলার বাদী লিপি’র বাবা রফিকুল ইসলামই হত্যাকাণ্ডের আসামি। এ নিয়ে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

রফিকুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে মঙ্গলবার পুলিশ জানায়, বিবাহবিচ্ছেদের পর লিপি বাবার বাড়ি পীরগাছার অনন্তরাম বড়বাড়ীতে বসবাস শুরু করেন। এ সময় লিপি নেশা ও অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে অনেক সালিশ হয়। গত কোরবানি ঈদে ঢাকা থেকে রফিকুল বাড়িতে এসে জানতে পারে মেয়ে লিপি গর্ভবতী। এটি জেনে দিশেহারা হয়ে পড়েন রফিকুল।

২২ জুলাই রাত ১টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় পা দিয়ে গলা চেপে ধরে লিপিকে হত্যা করেন বাবা। এরপর সেই লাশ রাতেই পাশের ধানখেতে পুঁতে রাখেন। এর দু’দিন পর প্রতিবেশীরা লাশের সন্ধান পেয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় সেই লাশ আরও দূরে পুঁতে রাখেন রফিকুল। এরপর ২৬ জুলাই রফিকুল পীরগাছা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম বলেন, বিষয়টি অনেক স্পর্শকাতর ও ক্লুলেস মামলা ছিল। লিপি হত্যার দায়ে মামলার বাদী বাবা রফিকুলকে অনেক পরিকল্পনা করে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। লিপিকে হত্যা ও লাশ গুমে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। রফিকুল স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।