জিম্মি করে ডাকাতি: নারী যাত্রীকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে
- মোমন্টেস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২২, ০৪:৩৩ PM , আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২২, ০৪:৩৩ PM

কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী নাইট কোচে যাত্রীবেশে ডাকাতি পর এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত মিলেছে। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ডাক্তার রেহেনা পারভীন তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুপুরে ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ভোরে নৈশকোচে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রাজা মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় যাত্রীদের কাছ থেকে লুন্ঠিত তিনটি মোবাইল তার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী জানান, তিনি ঢাকার নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের বাসে উঠেছিলেন তিনি। বাসটি রাত সাড়ে ৮টায় যাত্রা শুরু করে। রাত সাড়ে ১১টায় সিরাজগঞ্জে একটি হোটেল যাত্রাবিরতি দেওয়ার পর আবার রওনা দেয় বাসটি। বাসটি গেটলক সার্ভিস থাকলেও রাস্তায় সিগনাল দিয়ে তিন দফায় ১০ জন তরুণ ওঠেন বাসে। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর তিনিসহ বাসে থাকা অন্য যাত্রীদের হাত, পা, মুখ বেঁধে ফেলেন যাত্রীবেশে ওঠা ডাকাত দল। এরপর একে একে সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করতে থাকে। ভুক্তভোগী নারী ছিলেন মাঝখানের দিকের সিটে। এক ডাকাত এসে তার মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন। বাসে থাকা শিশুদেরও হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। কাউকে কাউকে মারধরও করা হয়। কিছুক্ষণ পর আরেক ডাকাত এসে ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করতে থাকেন। তিনি বিপদ আঁচ করতে পেরে বার বার ছেড়ে দিতে আকুতি জানান। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। একে একে ছয়জন ডাকাত তাকে ধর্ষণ করেন।
তিনি আরও জানান, তার মতো আর কেউ বাসটিতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না, তিনি বলতে পারবেন না। কারণ, তারসহ সবারই চোখ বাঁধা ছিল।
গত মঙ্গলবার রাতে ঈগল পরিবহনের একটি বাস কুষ্টিয়ার বড়াইগ্রাম থেকে ৩০-৩৫ যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে যাত্রীবেশে ডাকাত দল উঠে প্রথমে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে যাত্রীদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারধর এবং লুটের পর এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর ডাকাতদল বাসটি ঘুরিয়ে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের সামনে ফেলে রেখে নেমে যায়।