মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা: আহত আরও একজন মারা গেলেন

মৃত্যু
  © সংগৃৃহীত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় বেঁচে যাওয়া মাইক্রোবাসযাত্রী আয়াতুল ইসলাম আয়াত (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এনিয়ে ১২ জনের মৃত্যু হলো। আয়াত হাটহাজারীর চিকনদন্ডী ইউনিয়নের খন্দকিয়া পাড়ার আব্দুর শুক্কুরের ছেলে। 

টানা ৬ দিন আইসিইউতে থাকার পর শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

চমেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তির পরের দিনই তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় তার মাথায় ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত ছিল। দিন দিন শারীরিক অবনতির কারণে তার জ্ঞান ফেরেনি। আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া মাইক্রোবাসের আরও পাঁচ যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া ইমন নামের একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই খৈয়াছড়া ঝরনা ঘুরে ফেরার পথে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়ায় ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৬ জন। তারা সবাই হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার এলাকার ‘আর অ্যান্ড জে’ কোচিং সেন্টারের ছাত্র ও শিক্ষক।