ভালোবাসার টানে মিশর ছেড়ে দিনাজপুরে তরুণী

ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এলেন এমন শিরোনাম যেন মুখস্থ হয়ে গেছে সবার। তবে এবারের ঘটনাটা একটু ভিন্ন। প্রেমের টানে এবার দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে পাকাপোক্তভাবে এসেছেন তরুণী নূরহান। মিশর ছেড়ে স্বামী শমসেরের হাত ধরে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। শমসেরের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জে। এ নিয়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে দিনাজপুরে। 

বছর পনের আগে দিনাজপুরের ছেলে শমসের জীবিকা অন্বেষণে পাড়ি জমান মিশরে। সেখানে কাজ করতে গিয়ে ৪ বছর আগে পরিচয় হয় নূরহানের সাথে। পরিচয়ের সূত্র ধরে বন্ধুত্ব এবং পরে প্রেমে জড়ান তারা। প্রেমের ২ মাসের মাথায় বিয়ে করেন নূরহান এবং শমসের। ভীনদেশি এক যুবককে বিয়ে করে দেশ ছেড়ে আসার দৃষ্টান্ত ভিন্ন। 

মিশর যাওয়ার পরে, শমসের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দ্রুতই ফিরে আসবেন বাংলাদেশে। কিন্তু, সেসময় দেখা হয় নূরহানের সাথে। পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। এক পর্যায়ে নূরহানের বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং সম্মতি নিয়ে বিয়ে করেন তারা। শমসের-নূরহানের ঘরে রয়েছে দুই সন্তান। বড় সন্তান রুকাইয়ার বয়স ৩ বছর। ছেলে মোঃ ইয়াসিনের বয়স ১১ মাস। 

শমসের বলেন, 'যখন মিশরে যাই ভালো লাগত না। অনেকবার ভেবেছি এদেশে থাকবনা। বাংলাদেশে চলে যাব। সেসময়ই আমার দেখা হয় নুরহানের সাথে। প্রেম হয়। বিয়ের প্রস্তাব দেই। ওর বাবা সম্মতি দিলে বিয়ে করি। দুই সন্তান নিয়ে বেশ সুখে আছি।' 

ভীনদেশী গৃহব্ধূ পেয়ে খুশী শমসের এর পিতা। মিশরীয় তরুণীকে বাংলাদেশের গৃহব্ধূ হিসেবে পেয়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আনন্দের জোয়ার দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন গ্রাম, মহল্লা থেকে মানুষজন আসছে বিদেশী গৃহবধূকে দেখার জন্য। বাংলাদেশের বউ হতে পেরেও বেশ আনন্দিত নূরহান।

ভালোবাসা এক বিরল শক্তি। ভালোবাসা দিয়ে জয় করা যায় সমস্ত কাঁটাতার এবং সীমার পরিধি। সে সুবাদেই সুদূর মিশরীয় কণ্যা বাংলাদেশের দিনাজপুরে এলেন গৃহবধূ হিসেবে।