ভিজিএফ কার্ড দেয়ার ফাঁদে ফেলে গৃহবধূকে ধর্ষণ, মেম্বার গ্রেফতার

ধর্ষণ
  © প্রতীকী ছবি

ভিজিএফ কার্ড দিতে এসে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) দেলোয়ার হোসাইন।  

বুধবার (১০ আগস্ট) রাতে সাটুরিয়া থানায় ওই গৃহবধূর লিখিত অভিযোগ পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে গ্রেফতার করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম।  

দেলোয়ার হোসাইন বরাইদ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তোফা মিয়ার ছেলে।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেলোয়ার হোসাইনের কাছে এক দরিদ্র গৃহবধূ ভিজিএফের ১০ টাকা কেজি দরের চালের একটি কার্ড চান। আজ দিচ্ছি কাল দিচ্ছি বলে কালক্ষেপ করতে থাকেন দেলোয়ার। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে তিনি গৃহবধূর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানান যে তার ভিজিএফ কার্ড হয়ে গেছে। রাতেই ওই নারীকে কার্ড নিয়ে যেতে বললে গৃহবধূ সকালে নেওয়ার কথা বলেন।  কিন্তু ওই ইউপি সদস্য রাতেই তার হাতে কার্ড পৌঁছে দেবেন বলে জানান। পরে গভীর রাতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে যান দেলোয়ার। সেখানে তিনি গৃহবধূকে ঘরের বাইরে ডেকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে গৃহবধূ চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ইউপি সদস্যকে আটক করেন।  

পরে দেলোয়ারকে ছাড়িয়ে নিতে স্থানীয় মাতবর আব্দুল বেপারি ও বাবুল হোসেনসহ কয়েকজন চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তারা আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ারও প্রস্তাব দেন। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে দেলোয়ারকে ছাড়িয়ে নেন তারা।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, আমি দুই সন্তান ও স্বামী নিয়ে কষ্টে জীবন যাপন করে আসছি। তাই ১০ টাকা দরের চাল কিনতে ভিজিএফ কার্ডের জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই ইউপি সদস্য দেলোয়ারের পেছন পেছন ঘুরছিলাম। সে প্রথম দিক থেকেই কার্ডের বিনিময়ে কিছু চাচ্ছিল, তখন আমি বিষয়টি ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারিনি। হঠাৎ করেই মঙ্গলবার রাতে সে ফোন করে আমাকে কার্ড নিতে তার বাড়িতে যেতে বলে। ওই সময় আমি তাকে সকালে আসব বলে জানাই, কারণ আমার স্বামী বাড়িতে নাই। তখন সে বলে ঠিক আছে, তোমার আসতে হবে না, আমিই কার্ড নিয়ে আসছি। কার্ড নিয়ে সে আমার বাড়িতে এসে ফোন করে বাইরে বের হতে বলে। ঘর থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে আমাকে জাপটে ধরে ধর্ষণ করে। এ সময় আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন চলে আসে এবং তাকে আটকে রাখে। পরে আমি সাটুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করি।  

সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি দেলোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।