সুখের ছিল না কলেজশিক্ষিকা ও ছাত্রের দাম্পত্য জীবন
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২২, ০৭:৪৭ PM , আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২২, ০৭:৪৭ PM

নাটোরের কলেজশিক্ষিকা খায়রুন নাহার (৪২) ও মামুন হোসেনের (২২) সংসার সুখের ছিল না। নিজেদের মধ্যে লেগে থাকতো ঝগড়া। যেই রাতে ওই কলেজশিক্ষিকা আত্মহত্যা করেছেন বলে আপতত মনে হচ্ছে সেই রাতেও স্ত্রীকে লাথি মেরে বের হয়ে যান মামুন। নাটোর জেলা পুলিশ সুপার এমন তথ্যই জানিয়েছেন।
এদিকে সোমবার শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪৫) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আটক স্বামী মামুন হোসেনকে (২২) ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্তু ছুটির দিন হওয়ায় বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটে তাকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসলেম উদ্দিনের আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম সারোয়ার স্বপন বলেন, ‘মামুন হোসেনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আনতে পারেনি পুলিশ। এ কারণে ৫৪ ধারায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়। সুতরাং তার জামিন পাওয়ার আমরা হকদার। মঙ্গলবার পুনরায় জামিনের জন্য আবেদন করা হবে।’
কোর্ট দারোগা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু খায়রুন নাহারের মামলাটি তদন্ত চলছে, সে কারণে তাকে জামিন দেওয়ার বিরোধিতা করা হয়েছে। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেছেন।’
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, পুলিশের একাধিক টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। সিসিটিভির ফুটেজও পাওয়া গেছে। আটক মামুনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন তাদের দাম্পত্য কলহের কথা স্বীকার করেছেন। মামুন জানান, শনিবার রাত ২টায় স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হলে তিনি খাইরুনকে লাথি মেরে বাইরে চলে যান। এরপর শিক্ষক খাইরুন নাহার বেশ কয়েকবার ফোন করলেও মামুন ফোন রিসিভ করেননি। এতে ক্ষোভে খাইরুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান মামুন। সেদিন রাত ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে মামুনের ঘোরাঘুরির তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, খায়রুন নাহারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মামুন নামেমাত্র ব্যবসা করতেন। খায়রুন নাহার তার বড় ছেলে বৃন্তকে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য দুই লাখ টাকা দিতে মামুনের সম্মতি চান। কিন্তু মামুন ওই টাকা দেননি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে মামুন রাগ করে রাত ২টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান।