চুরির অপবাদ, ফটিকছড়িতে বিষপানে যুবলীগ কর্মীর আত্মহত্যা

চুরির অপবাদ, ফটিকছড়িতে বিষপানে যুবলীগ কর্মীর আত্মহত্যা
  © ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভূজপুরে মোবাইল চুরির অপবাদে যুবলীগ কর্মী রফিকুল ইসলামকে (৪৫) মারধর শেষে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। এ অপমান সইতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল রোববার (১৪ আগস্ট) বিকেলে নিজ বাড়ীতে রফিকুল বিষপান করেন।

নিহত রফিকুল দাতঁমারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুবলীগ কর্মী এবং ১ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের জনক।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিহত যুবলীগ কর্মীর মামা শশুর ও শ্রমিক লীগ নেতা আবুল হাসেম। তিনি এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অপবাদে তার ভাগ্নে রফিকুলকে মারধর ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে হেঁয়াকো বেক বাজার এলাকার এক নকশা মিস্ত্রী রফিকুলকে মোবাইল চুরির জন্য সন্দেহ করে। গতকাল সকালে কয়েকজন মিলে রফিককে যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান কমলের অফিসে নিয়ে চার ঘন্টা অবরুদ্ধ করে মারধর করে। পরে রফিকুলের আত্মীয়-স্বজনরা নগদ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

এই বিষয়ে কামরুজ্জামান কমল বলেন ফোন চুরির অপরাধে মানুষ তাকে নানান কথা বললে আমি আমার অফিসে এনে সমাধানের চেষ্টা করি, সে মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করেছে এবং স্বজনদের উপস্থিতিতে তাদের হাতে তুলি দিই। তাকে কেউ মারছে কিনা এবং তার থেকে টাকা আদায় করছে কীনা সে বিষয়ে আমি অবগত নই।

সূত্র জানায়, এ ঘটনায় বিকেলে রফিক নিজ বাড়ীতে বিষপান করে। স্থানীয়রা তাকে বালুটিলা বাজারের মানিক ডাক্তারের দোকানে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং ঘটনায় রফিকের পরিবারের পক্ষ থেকে ভূজপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেয়া হয়।

এ বিষয়ে ভূজপুর থানায় থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, হেয়াকোর যুবলীগ কর্মী রফিককে মোবাইল চুরির অপবাদে মারধর ও মুক্তিপণের অভিযোগ দিয়েছে তার পরিবার। আজ সকালে চমেক হাসপাতালে মৃত্যু হয় বলে জানিযেছে তার পরিবারের সদস্যরা। ময়নাতদন্ত করে লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতিও চলছে।