বসুন্ধরা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে আঁচল সাহা (২২) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি মেস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আঁচল সাহা ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মেয়ে আঁচল রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ওই মেসে দুজন বান্ধবীর সঙ্গে একটি রুমে ভাড়া থাকতেন বলে জানা গেছে।

আঁচল উল্লাপাড়ার ঝিকিড়া মহল্লার দীপক কুমার সাহা ও নীলা রানী সাহা দম্পতির মেয়ে। তিনি এলাকার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পরিচিত মুখ। সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে তার খ্যাতি ছিল।

পুলিশের ধারণা, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কেন তিনি এ পথ বেছে নিয়েছেন তা জানা যায়নি। ঢাকার ভাটারা থানার ওসি সাজেদুর রহমান সমকালকে বলেন, আঁচল ও তার দুই বান্ধবী একটি কক্ষে থাকতেন। ঘটনার সময় অন্য দু'জন বাসার বাইরে ছিলেন। রোববার রাত ১টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘরের ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মৃতের মামা পলাশ সাহা জানান, তিন বছর ধরে তার ভাগ্নি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি মেসে থেকে পড়ালেখা করে আসছিলেন। রোববার রাত ১০টার দিকে তার এক সহপাঠী ফোন করে বলেন, আঁচল খুবই অসুস্থ। পরিবারের লোকজন রাতেই ঢাকায় রওনা হন। ঢাকায় এসে জানতে পারেন, আঁচল আত্মহত্যা করেছেন। তবে তারা এর কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।

স্বজনরা জানান, আঁচল উল্লাপাড়াসহ সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি গান গাইতেন, নাচতেন ও আবৃত্তি করতেন। শৈশবে তিনি উল্লাপাড়ার কচিকাঁচার মেলা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন স্থানে সঙ্গীত ও নাচ পরিবেশন করে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন। ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তিনি তার প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।

আঁচলের এমন মৃত্যুতে উল্লাপাড়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সোমবার রাতে স্থানীয় ঘোষগাঁতি মহাশশ্মানে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।