কুয়াকাটায় খাবার হোটেলে ধর্মঘট, ভোগান্তিতে পর্যটকরা

কুয়াকাটায় খাবার হোটেলে ধর্মঘট, ভোগান্তিতে পর্যটকরা
কুয়াকাটায় খাবার হোটেলে ধর্মঘট, ভোগান্তিতে পর্যটকরা  © ফাইল ফটো

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এলাকার সব খাবারের হোটেল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার হোটেল মালিকরা এ ধর্মঘটের ডাক দেন। ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন পর্যটকরা।

হোটেল মালিকদের দাবি, খাবারের মান খারাপ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভিযোগ এনে প্রায় সময়ই ভ্রাম্যমাণ আদালত হোটেলমালিকদের জেল-জরিমানার করছেন, যা যৌক্তিক নয়। এর প্রতিবাদে এ ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক সভা করে কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতি। সভা শেষে সমিতির সভাপতি মো. সেলিম মুন্সী অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। এ সময় খাবার কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কলিম মাহমুদ, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. আলমগীর হোসেনসহ অন্য হোটেলমালিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে হঠাৎ করে ধর্মঘট আহ্বান করায় পর্যটকেরা বিপাকে পড়েছেন। ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার নওসের আলী বলেন, ‘আমরা ২০ জনের মতো একটি দল কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছি। সব কটি খাবার হোটেল বন্ধ থাকায় কুয়াকাটায় পৌঁছেই বিপদে পড়ে গেলাম। কোথায় খাব, কী করব, বুঝতে পারছি না।’

কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মো. সেলিম মুন্সী বলেন, ‘বাইরের পরিবেশ নোংরা হওয়ার অপরাধে একটি খাবার হোটেলকে দুবার জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের দাবি, ঠুনকো অজুহাত দেখিয়ে প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে না। প্রতিটি রেস্তোরাঁর মালিকই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। অথচ ভ্রাম্যমাণ আদালত খাবার হোটেলকে সুসজ্জিত ও সৌন্দর্যবর্ধন করার জন্য বলেছেন, কিন্তু হঠাৎ করে তা সম্ভব নয়।’ সে জন্য সময় দিতে হবে বলে তিনি জানান।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে কুয়াকাটায় বিপুলসংখ্যক পর্যটক বেড়াতে আসছেন। আমরা সব সময়ই খাবার হোটেলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, খাবার মান ঠিক রাখতে নির্দেশনা দিয়ে আসছি। অনেকে হোটেলে এসব নির্দেশনা না মেনে পচা-বাসি খাবার পরিবেশন করে থাকে। পর্যটকেরাও এ নিয়ে প্রায় সময়ই অভিযোগ করে থাকেন। এ জন্য জেলা প্রশাসন থেকে পর্যটকদের সুবিধার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘খাবার হোটেলের মালিকেরা কোনো সমস্যা মনে করলে এ নিয়ে কথা বলতে পারতেন। তা না করে হঠাৎ ধর্মঘট ডাকা যৌক্তিক হয়নি। এ নিয়ে খাবার হোটেলের মালিকদের সঙ্গে আমরা কথা বলে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।’