রামগড়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী বলৎকারের অভিযোগ
- ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২২, ০৬:২৭ PM , আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২২, ০৬:২৭ PM

রামগড়ে হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ুয়া ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে ঐ মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। রামগড় উপজেলার দক্ষিণ গর্জনতলী হামিদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম হাফেজ হাবিবুল্লাহ বাহার।
সে ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার হলুদিয়া সৈনিকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তার পিতার নাম ওমর আলী। অভিযুক্ত শিক্ষক গত এক বছর ধরে সে মাদ্রাসাটিতে শিক্ষকতা করছে বলে জানান মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
গত ১৬ আগষ্ট মঙ্গলবার রাতে মাদ্রাসা পরিচালক বলাৎকারের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মাদ্রাসায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়ায় ঘটনা প্রকাশ পায়। নির্যাতিত ছাত্রের মায়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের আপোষ করার কথাও কেউ কেউ বলছেন। অপরদিকে বলাৎকারের শিকার ওই ছাত্র মাদ্রাসা পরিচালকে বিষয়টি জানালে টের পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে গেছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
বলাৎকারের শিকার হওয়া ছাত্র নিজের মুখেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন যে,মাদ্রাসায় ভর্তির পর থেকে শিক্ষক হাফেজ হাবিবুল্লা বাহার প্রায় সময় তাকে হাত-পা টিপায়, বেশকিছুদিন ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায় সময় বলাৎকার করে আসছে সর্বশেষ গত সোমবার তাকে পুনরায় বলাৎকার করলে সে মাদ্রাসার পরিচালক মোবারক হোসেনকে বিষয়টি জানান।
ছাত্রের মা জানান, ছেলে অসুস্থ্যতার খবর পেয়ে মাদ্রসায় এলে বিষয়টি জানতে পারি তারপর মাদ্রাসা পরিচালকের কাছে বিচার চাইলে তারা বসে সমাধান করে দেবেন বলে হেনস্থ্যা করে এবং থানা পুলিশের দরকার হবেনা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। বর্তমানে তার ছেলে খুবই অসুস্থ ও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ছে। তিনি ছেলেকে চিকিৎসার জন্য বাড়িতে নিয়ে গেছেন বলে জানান।
মাদ্রাসার পরিচালক মোবারক হোসেন জানান, বলাৎকারের বিষয়টি তিনি গতকাল জেনে কমিটিকে জানিয়েছেনম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।