২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আতিকের সন্তানদের চাকরির দাবি
- চাঁদপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২২, ০৭:১৬ PM , আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২২, ০৭:১৬ PM

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচআনি গ্রামের আতিক। তার পরিবার হামলাকারীদের সবোর্চ্চ দাবি করেন। চার সন্তান নিয়ে দুঃখে-কষ্টে সংসার চালাচ্ছেন আতিকের বিধবা স্ত্রী লাইলী বেগম (৫৪)। তাই সন্তানদের সরকারি চাকরির দাবী করছেন আতিকের স্ত্রী।
চার সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে তানিয়া আক্তারের (২৭) আর্থিক দৈন্যদশার জন্য এইচএসসি পাসের পর লেখাপড়া থেমে যায়। ফলে ৬ বছর আগে তার বিয়ে হয়ে যায়। বড় ছেলে মিথুন (২৪)। চাকরি করার কারণে উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএ পড়ালেখা করছে। পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করে সংসার চালায়। মেজ ছেলে মিন্টু (২২) অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে এখন রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। তাকে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। সে বাড়িতে থাকে। ছোট ছেলে শাকিব (১৬) এবার এইচএসসিতে পড়ে।
শনিবার (২০ আগস্ট) বিকালে সরেজমিন আতিকের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, চৌ-চালা ঘরে তার স্ত্রী লাইলী বেগম চার সন্তান নিয়ে থাকেন। লাইলী জানান, ২১ আগস্ট আসলেই সাংবাদিকরা খোঁজ-খবর নেন। এ ছাড়া আর কেউ এই পরিবারের খোঁজ-খবর নেন না। আতিকুর রহমানের বড় ছেলে মিথুন বলেন, আমাদের একটি চাকরির প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদের ভাইবোনের চাকরির ব্যবস্থা করতেন তাহলে আমরা একটু সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারতাম।
লাইলী বেগম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ১ লাখ, তারপর সঞ্চয়পত্র ১০ লাখ, এফডিআর-এর জন্য ২০ লাখ এবং নগদ ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এ ছাড়া আর কোনো সাহায্য আমরা পাইনি। আমার স্বামীর হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাই। আর যেন কোনো স্ত্রীর তার স্বামীকে অল্প বয়সে হারাতে না হয়।
মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জয় জানান, ২০ আগস্ট বাদ জুমা মরহুম আতিকুর রহমানের রূহের মাগফেরাত কামনায় পাঁচআনি জামে মসজিদে যুবলীগের পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখ্য, আতিকুর রহমান ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ঢালাই শ্রমিকের কাজ করতেন। শ্রমিক লীগের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি যোগদান করেছিলেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেদিন তাকে জীবন দিতে হয়েছিল ঘাতকদের গ্রেনেড হামলায়।