২৫ টাকা মজুরি বৃদ্ধি প্রত্যাখান
চা-শ্রমিকদের একাংশের ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২২, ০৯:০৮ PM , আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২২, ০৯:০৮ PM

১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে সারাদেশের ১৬৭টি চা বাগানের শ্রমিকরা অষ্টম দিনের মতো শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ধর্মঘট পালন করেছেন। তাদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে এর আগে শ্রীমঙ্গলে শ্রম দপ্তরে ও ঢাকায় দু’দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪০ টাকা মজুরির প্রস্তাব দেওয়া হলেও চা শ্রমিকরা তা প্রত্যাখান করেন।
পরে তৃতীয় দফায় চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে শনিবার বিকেলে শ্রীমঙ্গলের শ্রম দপ্তরে চা শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকার পক্ষের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ২৫ টাকা বাড়িয়ে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারিত হয়। এরপর ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রিয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল।
তবে এর কিছু সময় পরেই বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালি কমিটির সভাপতি ধনা বাউরী ও চা ছাত্র যুবনেতা মোহন রবিদাসের নেতৃত্বে শ্রমিকদের একটি পক্ষ এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ধনা বাউরী ও মোহন রবিদাস শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘শনিবার সভা শুরুর আগে থেকেই পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। পরে পুলিশ আমাদের টর্চার করেছে। চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রিয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পালকে দিয়ে ১৪৫ টাকা মজুরি মেনে ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন। আমরা এই সিদ্ধান্ত মানবো না। ৩০০ টাকা মজুরি নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।’
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালি কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আমাদের দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকা মেনে নিতে এবং ধর্মঘট স্থগিত করতে। সেই প্রেক্ষিতে আপাতত ১৪৫ টাকা মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আমাদের একটি পক্ষ এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছে না।’
এদিকে ১৪৫ টাকা মজুরি মেনে মেনে চা শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে- বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর. শমশেরনগর, মৃর্ত্তিঙ্গা চা বাগানসহ বিভিন্ন চা বাগানের বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা রোববার থেকে ফের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
এর আগে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চা-শ্রমিকদের নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয়। এদিন বিকেল তিনটায় চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে শ্রম অধিদপ্তর। এই বৈঠক শেষে নিপেন পাল অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।