জলদস্যু থেকে বাঁচতে মেঘনায় ঝাঁপ, প্রাণ গেল চাচা-ভাতিজার
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২২, ১০:১৬ PM , আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২২, ১০:১৬ PM
জলদস্যুদের হামলা থেকে রক্ষা পেতে গত শনিবার রাতে উত্তাল মেঘনায় ঝাঁপ দিয়ে মারা গেছেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুই জেলে। পরে রাত ২টার দিকে বয়ার সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতরা হলেন- মো. মিজান ও মো. রাব্বী। তাঁরা সম্পর্কে চাচা ও ভাতিজা। এ সময় দস্যুদের হামলায় আহত হয়েছেন ওই ট্রলারের চার মাঝি-মাল্লা।
আহত জেলে মহিউদ্দিন জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে বয়ার চর-সংলগ্ন মেঘনায় ফেলা জাল তুলছিলেন তাঁরা। এ সময় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ট্রলারে হামলা চালায় দস্যুরা। প্রাণরক্ষায় উত্তাল মেঘনায় সবাই ঝাঁপ দেন। একপর্যায়ে দস্যুরা ট্রলারের জালসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে সটকে পড়ে।
অন্য জেলেদের সহায়তায় মো. রাকিব, মো. স্বপন, আক্তার হোসেন ও তিনি তীরে এলেও নিখোঁজ ছিলেন মিজান এবং রাব্বী। পরে খবর পেয়ে অন্য ট্রলার নিয়ে স্বজনরা নদীতে সন্ধানের একপর্যায়ে জালে জড়ানো মরদেহ দুটি পান। দুই সদস্যকে হারিয়ে পরিবারে মাতম চলছে।
রোববার দুপুরে চরফ্যাশন উপজেলার হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নের খাজুর গাছিয়াঘাট এলাকা গিয়ে দেখা যায়, মিজানের স্ত্রী লিমা, সাত বছরের শিশুকন্যা মিনজু ও দুই বছরের লামিয়া আর্তনাদ করছে। ছেলে ও নাতির জন্য বিলাপ করতে করতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন মিজানের বৃদ্ধা মা রহিমা বিবি। আর ১৫ বছর বয়সী ছেলে রাব্বীর জন্য বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা বিবি মরিয়ম ও বাবা মো. সিরাজ। তাঁদের গগণবিদারী আর্তনাদে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
চরফ্যাশনের শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। পরিবারের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়। এরপর রোববার দুপুরে জানাজা শেষে বাড়ির পাশে চাচা-ভাতিজাকে দাফন করা হয়েছে।