লন্ডন প্রবাসী পরিবারের ৩ সদস্যের মৃত্যুর কারণ অক্সিজেন স্বল্পতা

লন্ডন প্রবাসী পরিবারের ৩ সদস্যের মৃত্যুর কারণ অক্সিজেন স্বল্পতা
লন্ডন প্রবাসী পরিবারের ৩ সদস্যের মৃত্যু  © ফাইল ফটো

গত ২৬ জুন সিলেটের ওসমানীনগরে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাবা, ছেলে ও মেয়ের মৃত্যুর কারণ ‘অক্সিজেন-স্বল্পতা’। মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনা করে মৃত্যুর এ কারণ পাওয়া কথা জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।  

তিনি বলেন, নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, ভিসেরা প্রতিবেদন, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ২০টি আলামতের রাসায়নিক বিশ্লেষণ ও বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল পর্যালোচনা করেছেন। পরে তাঁরা একটি মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে প্রতিবেদন দিয়েছেন। সেটি বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, প্রথমত লোকজনের আশঙ্কা ছিল, এ ঘটনা বিষক্রিয়ায় হতে পারে। তবে প্রতিবেদনে বিষক্রিয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয়ত, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নিহত তিনজনের শরীরে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

গত ২৬ জুলাই বেলা ১১টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগরের তাজপুর এলাকার একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলার কক্ষের দরজা ভেঙে রফিকুল ইসলাম (৫০), তাঁর স্ত্রী হোসনারা বেগম (৪৫), ছেলে সাদিকুর রহমান (২৫), মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০) ও ছোট ছেলে মাইকুল ইসলামকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর রফিকুল ইসলাম ও মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এরপর ৫ আগস্ট রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সামিরা ইসলাম মারা যান।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকে বলে আসছিলাম, যেহেতু সেটি আবদ্ধ ঘর ছিল এবং এক ঘরে পাঁচজন মানুষ বসবাস করেছেন। রাতে বিদ্যুৎ ছিল না, তাঁরা ঘরের ভেতরে জেনারেটর চালিয়েছিলেন। যেহেতু ঘরের দরজা-জানালা সব কটি বন্ধ ছিল। সেহেতু জেনারেটরের ধোঁয়ার কারণে এমনটি ঘটতে পারে। প্রথম থেকে ঘটনাস্থল পর্যালোচনা করে যেটি বলে আসছিলাম ‘সাফোকেশন’। সে সাফোকেশনে তাঁরা দমবন্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে আমরা নিশ্চিত। চিকিৎসকদের প্রতিবেদন অনুযায়ী তদন্তের সঙ্গে ঘটনার পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে এটি মিলে যাচ্ছে।’