পুলিশ সদস্যের পরকীয়া প্রেম, ধরা পড়ে পালাতে নদীতে ঝাঁপ
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২২, ০৬:০৩ PM , আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২২, ০৬:০৩ PM

পুলিশ সদস্য কাওছার আহমেদ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বরিশাল শহরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। এর মধ্যে সেই বাসার মালিকের মেয়ের সঙ্গে পরিচয় থেকে সখ্যতা। গড়ে ওঠে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক। মেয়ের পক্ষ থেকে বিয়ের চাপ দিলে টালবাহানা শুরু করেন কাওছার।
জানা গেছে, নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকার ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন কাওছার। পরে মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
কাওছার বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনে সদস্য হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি বরগুনার আমড়াঝুড়ি গ্রামে। চাকরির সুবাদে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বরিশাল শহরের দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকায় ওই তরুণীর বাবার বাসায় ভাড়া থাকতেন।
এই ঘটনার সমাধানের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) নগরীর বান্দরোড সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর তীরে ত্রিশ গোডাউন এলাকায় কথা বলার জন্য কাওছারকে ডেকে নেন ওই তরুণী। এসময় তরুণীর সঙ্গে তার মা, খালা ও মামাও ছিলেন। সেখানে কাওছারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। তারা কাওছারকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই আশপাশের লোকজন সেখানে জড়ো হয়।
এক পর্যায়ে কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে পালানোর চেষ্টা করেন কাওছার। তরুণীর স্বজনরা স্থানীয়দের সহায়তায় ট্রলার নিয়ে মাঝনদীতে কাওছারকে ধরে ফেলেন। পরে ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে তাকে তুলে দেন কোতয়ালী থানা পুলিশের হাতে।
ভুক্তভোগী তরুণীর স্বজনরা জানিয়েছেন, গত জানুয়ারি মাসে ওই ভাড়া বাসায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ওঠেন কাওছার। এরপরই বাড়ি মালিকের মেয়ের সঙ্গে তার পরিচয়। একই সময়ে তরুণীর বিয়ের জন্য পরিবারের সদস্যরা পাত্র খুঁজছিলেন। এ সুযোগে কাওছার তার অবিবাহিত এক সহকর্মীর সঙ্গে তরুণীর বিয়ের কথা বলেন। এ সূত্র ধরেই কাওছারের সঙ্গে তরুণীর পরিচয় থেকে সখ্যতা ও পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার ঘুরতেও যান। এক পর্যায়ে কাওছারকে বিয়ের জন্য চাপ দেন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তরুণী। এতে টালবাহানা শুরু করেন কাওছার। এমনকি তরুণীকে এড়িয়ে চলতেও শুরু করেন।
এ বিষয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে কনস্টেবল কাওছার আহমেদকে আসামি করে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। ভুক্তভোগী তরুণীকে ধর্ষণ সংক্রান্ত পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।