১৪০০ টাকা লুট করতে ৩ খুন! ১৫ বছর পর ধরা আসামি
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২২, ১০:৪৩ PM , আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২২, ১০:৪৩ PM

২০০৭ সালের ৬ জানুয়ারি রাতে বাড়ি ফিরছিলেন কুমিল্লার তিন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। পথে জেলার লাকসামে ডাকাতদলের কবলে পড়েন তারা। পরে ডাকাতরা তিনজনের কাছে এক হাজার ৪০০ টাকা পেয়ে লুটে নেয়। ওই তিন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর একজন চিনতে পারেন ডাকাতদলের এক সদস্যকে। এ ঘটনার এক পর্যায়ে ডাকাত সদস্যরা নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা করেন ওই তিন ব্যবসায়ীকে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আলোচিত ওই তিন খুনের বিস্তারিত জানিয়েছেন র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন। এর আগে রবিবার দিবাগত গভীর রাতে জেলার সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
লাকসামের চাঞ্চল্যকর ওই তিন হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা ডাকাত সদস্য নেওয়াজ শরীফ রাসেল ওরফে সবুজকে দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাবের ভাষ্য, এই দীর্ঘ সময় ছদ্মনাম ও পরিচয়ে ঢাকার সাভার, কমলাপুর ও সর্বশেষ কুমিল্লার বরুড়ায় আত্মগোপনে ছিলেন রাসেল। এরই মধ্যে আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেয়েছেন রাসেল। তিনি লাকসাম উপজেলার মুদাফ্ফরগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের শ্রীয়াং গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে।
তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে মামলার চার্জশিট দেওয়ার পর শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর কুমিল্লার তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক নুর নাহার বেগম শিউলী ওই মামলার রায় প্রদান করেন। এতে অভিযুক্ত পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করেন তিনি।
ওই তিন খুনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর চারজন হলেন লাকসাম শ্রীয়াং এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুর রহমান, ইয়াকুব আলীর ছেলে শহীদুল্লাহ, আব্দুল মান্নানের ছেলে ফারুক হোসেন ও মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে স্বপন। দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন আসামির মধ্যে এরই মধ্যে আব্দুর রহমান, শহীদুল্লাহ ও ফারুক হোসেন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। অপর আসামি স্বপন পলাতক রয়েছেন বলে জানান মেজর সাকিব।